শিরোনাম
◈ ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে একটি যৌক্তিক জায়গায় পৌঁছাতে চায় কমিশন :  অধ্যাপক আলী রীয়াজ  ◈ বাংলাদেশিদের ভিসা জটিলতা বাড়ছে: শিক্ষার্থী, চিকিৎসক ও ভ্রমণকারীদের ভোগান্তি চরমে! ◈ পাকিস্তানি অভিনেত্রী হুমাইরার ময়নাতদন্তে ভয়ঙ্কর সব তথ্য ◈ অর্থের বিনিময়ে ৬ বছরের শিশুকে বিয়ে: তালেবান প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আপাতত রক্ষা! ◈ আবারও মে‌সির জোড়া গোলে ইন্টার মায়ামির জয় ◈ এখন থেকে আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নাম থাকবে না: জ্বালানি উপদেষ্টা ◈ ‘তুমি কেন ফুয়েল কেটে দিলে?’ ভারতীয় বিমান বিধ্বস্তের আগে পাইলটদের শেষ ককপিট ভয়েস রেকর্ডিং ◈ দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসীদের জন্য সুখবর: মৃত্যু হলে লাশ দেশে পাঠাবে সরকার, ক্ষতিপূরণ মিলবে বীমার আওতায় (ভিডিও) ◈ বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে যাচ্ছে ভারত: পিউ রিসার্চ ◈ বেপরোয়া বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংঘাতে ছয় মাসে নিহত ৪৩

প্রকাশিত : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৬:৫৮ সকাল
আপডেট : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৬:৫৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] পটিয়ায় সেতুর আশায় এক যুগ পার

গিয়াস উদ্দিন: [২] চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নভুক্ত আজিমপুর এলাকাবাসী এক দশক ধরে একটি সেতু পেলোনা। আজিমপুর এলাকার পাশ দিয়ে বয়েগেছে শ্রীমতি খালের একটি শাখা খাল। এ খালের উপর একটি সেতুর জন্য এলাকাবাসী আপ্রাণ চেষ্টা করে আসছে এক দশক ধরে।

[৩] আজিমপুর, অলিরহাটের সাথে সংযোগ সড়কের এ ছোট্ট খালের উপর সেতুর জন্য এক দশক ধরে ধর্ণা দিয়ে আসছে এ এলাকার সাধারণ জনগণ। প্রায় ৮ বছর আগে আজিমপুর এলাকার স্বনামধন্য এডভোকেট মরহুম আহমদ হোসেন সরকারি বিভিন্ন দফতরে ঘুরে একটি সেতুর ব্যবস্থা করেন।

[৪] জানা যায়, সেতু অনেক গড়িমসি করে পিলার সেতুর স্থলে লোহার এঙ্গেল দিয়ে সরু করে তৈরি করে কিন্তু সেতুর উভয় পাশের সংযোগস্থলে সংযোগ সড়ক তৈরি না করে প্রকল্পের কাজ শেষ করে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা আজ-কাল-পরশু করে এক দশক পার হওয়ার পরও এ সেতুর উন্নয়নে কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখেনি।

[৫] ভুক্তভুগী উক্ত এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আকতার এ প্রতিবেদককে জানান, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড দু’টি পাশাপাশি হওয়ায় ঠেলাঠেলিতে এ সেতুর উন্নয়নের জন্য কেউ কাজ করতে উদ্যোগী হচ্ছে না। এ সেতু মেরামতের জন্যও কাজ করছেনা কেউ। এ ওয়ার্ডের মেম্বারকে বললে বলে ঐ ওয়ার্ডের মেম্বার করবে এভাবে ঠেলাঠেলিতে সেতুর উন্নয়নের কাজ স্থগীত হয়ে আছে।

[৬] মাঝে মধ্যে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীরা বছরে দু’একবার এসে সেতুর পরিমাপ করে যায়। সেতুর এপাশে পরিমাপ করে ওপাশে পরিমাপ করে কাজের কাজ কিছুই হয় না। দিন যায় সপ্তাহ আসে, সপ্তাহ যায় মাস আসে, মাস যায় বছর আসে এভাবে এক দশক পার হওয়ার পরও সেতু যে অবস্থায় ছিল সে অবস্থায়ই পড়ে আছে। যেন দেখার কেউ নেই।

[৭] সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুর উভয় পাশের সংযোগ সড়কের বিপদ জনক বাঁক যাতে যে কোনো মুহূর্তে সেতু থেকে পড়ে পথচারীরা আহত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সংযোগ সড়কটি আঁকাবাঁকা হওয়াতে সিএনজি এবং রিক্সা চলাচলে খুবই কষ্ট হচ্ছে।

[৮] এ ব্যাপারে স্থানীয় সিএনজি চালক দেলোয়ার হোসেন জানান, বিগত পাঁচ বছর আমি এ রাস্তা দিয়ে সিএনজি চালাই। সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় যাত্রী নিয়ে গাড়ি চালাতে খুবই আতঙ্কের মধ্যে থাকি। এলাকার এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের নিয়ে যাওয়ার সময় এক/আধ ঘণ্টা আগে গাড়ি নিয়ে বের হতে হয় এ সেতুর কারণে। সেতু সরু ও বিপদ জনক হওয়ায় যাত্রীদের গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে পার হতে হয় এতে যাত্রীরা বিব্রত ও বিরক্ত ভাব প্রকাশ করে।

[৯] এ বিষয়ে কচুয়াই ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনের কাছ থেকে জানতে চাইলে। তিনি এ ব্যাপারে কিছু বলতে অনীহা প্রকাশ করেন। সম্পাদনা: হ্যাপি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়