নীলা মাহমুদ: আপনার জন্মদিনের এই শুভদিনে, কিছু কথা বলতে চাই, আমি গর্বিত বাঙালি এবং বাংলাদেশি, আমার দেশের নাম বাংলাদেশ, জাতির জনক জাতির পিতার নেতৃত্বে অর্জন করেছেন এ দেশ। এই পরিচয়ের গর্ববোধ হতে, আমার দেশের নাম বাংলাদেশ সেই অধিকার দেয়ায় আমরা চিরকৃতজ্ঞ আমাদের জাতির পিতা শেখ মুজিবরের কাছে, আপনার কাছে, আমরা সবাই তার সন্তান। আমরা বাংলাদেশি এবং আমাদের দেশ বাংলাদেশ আর বিশে^র মাঝে মানচিত্রের স্থান দিয়েছেন সেই চেতনাবোধ স্বাধীনতার চেতনাবোধ থেকে প্রিয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকেই জানাতে চাই সেই অনুভূতি, যা আমার পিতাকে জানাতে পারিনি।
রাজ্যসূত্রে রাজকন্যা এ তো আমরা সকলেই জানি। রূপকথার গল্পে হোক আর বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে রাজারকন্যা রাজ কন্যা তার জন্ম হয় রাজকন্যা পরিচয়ের মাঝে এবং রাজকীয় পরিবেশে সে বেড়ে উঠে, কিন্তু একটি পরাধীন রাষ্ট্রকে হাজার সংগ্রাম আর সংঘাতের মাঝে নিজের হাজারো ত্যাগ আর বিসর্জনের মাঝে একটি রাষ্ট্রকে যে পরিচয় দেয়, একটি স্বাধীনতা, একটি নাম, একটি ভাষা এবং একটি মানচিত্র সেই তো সত্যিকারের রাজা।
বীরপুরুষের বীরত্ব আর সাহসিকতা বজ্রকণ্ঠের মাঝে অর্জন আমাদের বাংলাদেশ। কেনো সাত মাসে শেষ হলো না যুদ্ধ? কেনো আট মাসেই হলো না যুদ্ধ শেষ? নয় মাস যুদ্ধ করে একটি সন্তানের ন্যায় ভূমিষ্ঠ হলো বাংলাদেশ আর সেই সন্তানের পিতা, আমাদের জাতির পিতা। আজ সেই রাজ্যে নিজ লড়াইয়ে শত বাঁধা আর বিপত্তির মাঝে হাজারো সংগ্রাম আর মৃত্যুর মুখামুখি হয়েও আবার সাফল্য অর্জন করেছেন বীরপুরুষের বীরকন্যা, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কারো কোনো সহযোগিতা নয়, কারও কোনো মানবতার কারণে নয় বরং নিজের সাহস আর বীরত্বের মাঝে তিনি তার সাফল্য অর্জন করেছেন যে দেশ তার পিতার অর্জন যে দেশে আমরা গর্ববোধ করে বলতে পারি আমরা বাংলাদেশি। সে দেশেই তাকে হাজারো সংঘাতের মাঝে নিজের সাফল্য অর্জন করতে হয়েছে। তাহলে তিনি কি আমার বা আপনার মতো সাধারণ? যে সতেরোজন পরিবার হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে আজও লড়ে যাচ্ছেন দেশের সাফল্য আর উন্নতির লক্ষ্যে। বুকে চাপা কষ্ট আর মুখে হাসি, আজও লড়ে যাচ্ছেন তার বাবার অপূরণীয় স্বপ্ন পূরণে। সে সাধারণ নয়, সে অসাধারণ সে মানবতার মা ভূষিত হয়েছেন বিশ্বের দরবারে আজ এই বিশ্ব কন্যা সন্তান দিবসে.... তাকে বলবো সেই সর্বশ্রেষ্ঠ কন্যা। তাকে বলবো, তিনিই হচ্ছেন আমাদের ‘সত্যিকারের রাজকন্যা’।
আপনার মতামত লিখুন :