শিরোনাম
◈ ওড়না কেড়ে নিয়ে পুরুষ কর্মকর্তাদের উল্লাস, নারী বন্দিদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ◈ রেকর্ড উৎপাদনের সুফল কোথায়? চালের বাজারের চালকের আসনে কারা? ◈ পবিত্র আশুরা আজ ◈ তরুণ ক্রিকেটার তানভীরের ফাইফারে সিরিজ সমতায় বাংলাদেশ ◈ 'শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দখল করেছে জামায়াত': গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ◈ ১৪ হাজার কোটি রুপি কেলেঙ্কারি, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ভারতের নেহাল মোদি (ভিডিও) ◈ মোবাইল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিস থেকে রক্তাক্ত ট্র্যাজেডি ◈ জাতীয় নির্বাচনে বাধা দেওয়ার শক্তি কারো নেই: কেরানীগঞ্জে বিএনপি সমাবেশে সালাহ উদ্দিন আহমদের হুঁশিয়ারি ◈ তুর্কমেনিস্তানকে কাঁ‌পি‌য়ে দি‌লো বাংলা‌দেশ, এশিয়ান কাপে যাচ্ছে ঋতুপর্ণারা ◈ চী‌নে জু‌নিয়র হ‌কি‌তে একদিনে বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী দ‌লের জয়

প্রকাশিত : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০১:৩০ রাত
আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০১:৩০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১]বরিশালের আগৈলঝাড়ায় মাল্টা বারি জাত-১ চাষে স্বাবলম্ভী চাষীরা

এসএম শামীম: [২] কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উদ্যোগে সমতল ভূমির প্রদর্শনী প্লট চাষ করা সুস্বাদু বারি জাত-১ এর মাল্টা এখন দখল করছে স্থানীয় বাজার।

[৩] উপজেলার মোল্লাপাড়া গ্রামের আসাদুল হক হাওলাদার ও বেলুহার গ্রামের জলিল শরীফ জানায়, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সেখান থেকে বিনামূল্যে বারি জাত-১ এর মাল্টা গাছের চারা পেয়ে ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে ৫০ শতক জমিতে বারি জাত-১ এর মাল্টা চারা রোপন করেছি।

[৪] সরকারের দ্বিতীয় শস্য বহুমুখী প্রকল্পের আওতায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মনোতোষ সরকারের নির্দেশনায় নিবির পরিচর্যার কারণে চারাগুলো বড় হয়ে একবছরের মধ্যেই ফুল ও ফল ধরতে শুরু করেছে। প্রতিটি গাছে ৬০ থেকে ৭০টি করে ফল ধরেছে।

[৫] অন্যদিকে ফুল্লশ্রী গ্রামের খলিলুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, গত কয়েক বছর ধরে তার রোপিত গাছে মাল্টা ধরেছিল, তবে তা পরিমানে কম ছিল। এবছর ওই গাছগুলোতে প্রচুর পরিমানে ফল ধরেছে। ফলের কারণে নুয়ে পড়া ডাল বেঁধে দিতে হয়েছে বাঁশ দিয়ে। তার প্রতিটি গাছে ৩০ থেকে ৪০ কেজি করে ফল হয়েছে। গাছ থেকে বছরে দু’বার ফল সংগ্রহ করা যায়। ফলের সাইজও বেশ ভাল। গড়ে চারটা মাল্টায় এক কেজি ওজন হয়েছে।
[৬] ইতোমধ্যে তিনি বাগান থেকে ফল বিক্রি করতে শুরু করেছেন। প্রতি কেজি মাল্টা দুইশ’ টাকা কেজি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

[৭] বাজারে হলুদ রং এর মাল্টা পাওয়া গেলেও চাষি খলিলুর রহমান, আসাদুল হক হাওলাদার ও জলিল শরীফ এর বাগানের মালটার রং সবুুজ। ফল পরিপক্ক হলেই সবুজ রংয়ের মালটা খেতেও খুব মিষ্টি। চাহিদার কারণে বাড়ি থেকেই বেশিরভাগ ক্রেতারা মাল্টা ক্রয় করে নিচ্ছেন। বাগান থেকে সতেজ মাল্টা নিয়ে ক্রেতারাও বেশ খুশি। সম্পূর্ন প্রাকৃতিকভাবে চাষাবাদ করায় ও রাসায়নিক কীটনাশক মুক্ত মাল্টার চাহিদা ও সুনাম ছড়িয়েছে উপজেলার সর্বত্র।

[৮] এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দোলন চন্দ্র রায় জানান, পুষ্টি চাহিদা মেটাতে কৃষি অফিস থেকে মাল্টা গাছের চারা বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলায় মোট ২৬টি প্রদর্শনী প্লট করা হয়েছে। এখন ওই প্রদর্শনী দেখে অনেকেই মাল্টা চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়