মুশফিক ওয়াদুদ: আমার বাংলাদেশ পার্টির সব সম্ভাবনা নষ্ট হয়ে গেছে
মুশফিক ওয়াদুদ: আমার বাংলাদেশ পার্টির এক বা একাধিক নেপথ্য এডভাইজার এক সময় মার্ক্সসিস্ট ছিলেন। হয়তো এখনো আছেন। তাঁরা যখন মার্ক্সসিস্ট ছিলেন তখন তাঁদের কে দেশের খুবই অল্প কিছু মানুষ চিনতেন। তাঁদের একজনের ফেসবুক পোস্ট গুলোর বিবর্তন দেখছিলাম সেদিন। ২০১৩ সালের আগে সর্ব সাকুল্যে ১৪ কি ১৫ টা লাইক পরতো। সেখান থেকে এখন ১৪০০ অথবা ১৪০০০। সামহোয়ারইন ব্লগের পোস্ট গুলোরও এই অবস্থা ছিল।
তাঁরা যখন থেকে সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুর আদর্শের পক্ষে লেখা শুরু করলেন- ইসলামিস্টদের পক্ষে কাউন্টার ন্যারেটিভ তৈরি করা শুরু করলেন তখন থেকে তাঁদের জনপ্রিয়তা বাড়া শুরু হলো।
প্রশ্ন হলো এটা কি তাঁদের ক্যারিশমার কারণে হয়েছে? আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি না। দুটি কারণে হয়েছে। ১। ইসলামিস্টদের মধ্যে বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার লোকজন কম অথবা যারাও আছেন তাঁরা স্টিগমাটাইজড। ফলে সেখানে একটি শুন্যতা ছিল। ২। এদেশের মানুষ আসলে ইসলাম কে পছন্দ করেন। যার কারণে একজন মসজিদের খতিব ইউটিউব চ্যানেল চালু করলে নায়ক গায়কের চেয়ে বেশি ভিউ পান, জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।
সবচেয়ে বড় বিষয় হলো তাঁদের যদি ক্যারিশমাই থাকতো তাহলে তাঁদের নিজেদের মতাদর্শ মার্ক্সসিজমকেই এদেশে জনপ্রিয় করতে পারতেন। অন্যের ভাড়া টিয়া বুদ্ধিজীবি হওয়ার প্রয়োজন পরতো না।
এখন যেই ইসলামিস্টদের পক্ষে ন্যারেটিভ তৈরি করে তাঁরা জনপ্রিয় হলেন সেই ইসলামিস্টদের একটি অংশ কে তাঁরা বললেন তোমরা ইসলামি ভাব সাব বাদ দিয়ে সেকুলার হয়ে যাও। এই জায়গায়ই আমার বাংলাদেশ পার্টির সব সম্ভাবনা নষ্ট হয়ে গেছে। তাঁদের নেতাদের মধ্যে নিজেদের কে সেকুলার প্রমাণ করার প্রবল চেষ্ট করতে হচ্ছে। ফলে দলটির অবস্থা হইছে লেজকাটা শেয়ালের মত ।
থিউরি হলো- এই দেশে ইসলামী নাম নিয়ে/ ইসলামিস্টদের পক্ষে কথা বলে যত দ্রুত জনপ্রিয় হওয়া যায় অন্য কোন ভাবে এইটা সম্ভব না। যেই থিউরি কে অনুসরণ করে এই সব নেপথ্য উপদেষ্ঠারা নিজেরা জনপ্রিয় হইছেন আমার বাংলাদেশ পার্টি কে তার ঠিক বিপরীত পরামর্শ কেন দিলেন এইটা একটা গবেষণার বিষয় হইতে পারে। ফেসবুক থেকে