ইসমাঈল ইমু: [২] সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার করে পর্নোগ্রাফি, সাইবার বুলিং, যৌন হয়রানি হচ্ছে হরহামেশা। ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে মানহানি, বিভ্রান্তিকর পোস্ট, গুজব ছড়ানোর ঘটনাতো আছেই।
[৩] বিশেষ করে তরুণরা ছোটখাটো ঝামেলা, সম্পর্কে টানাপোড়েন হলেই প্রেমিকার আপত্তিকর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এমনকি স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা না হলে তাকে অনলাইন মাধ্যমে হেনস্তা করছে স্বামী।
[৪] এছাড়া জঙ্গী কার্যক্রম, প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধের অভিযোগ জমা পড়ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে। শুধু সিআইডিতেই প্রতিদিন সাইবার অপরাধের ৫০ থেকে ৬০টি অভিযোগ দিচ্ছেন ভুক্তভোগীরা।
[৫] সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কাশবনে ঘুরতে গিয়ে শ্লীলতাহানীর শিকার হন এক তরুণী। মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে বখাটেরা। এ ঘটনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে আসায় ভিডিওটি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করতে পারেনি অভিযুক্তরা।
[৬] তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সাইবার অপরাধের শিকার হচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। লজ্জায় কারো কাছে সেটা বলতেও পারেন না।
[৭] এ বিষয়ে অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিষ্টার মাহবুবুর রহমান বলেন, শিক্ষিত লোকজনের মধ্যেই এ ধরনের অপরাধপ্রবণতা বেশি। পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নৈতিক শিক্ষায় জোর দিলেই সাইবার অপরাধ কমে আসবে বলে মনে করেন তিনি। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব
আপনার মতামত লিখুন :