নিউজ ডেস্ক: [২] ভারতের কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসাররা দাবি করছেন, গরু পাচারের অর্থে বিএসএফ কর্মকতা সতীশ কুমার বিপুল সম্পত্তি করেছেন। আনন্দবাজার।
[৩] ২১ সেপ্টেম্বর গরু পাচার মামলাটি নথিভুক্ত হয়। ২২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার আসানসোল আদালত থেকে তল্লাশির অনুমতি নেয় সিবিআই। বুধবার চলে তল্লাশি। গরু পাচারকারী এনামুল হকের কলকাতার কয়েকটি ঠিকানা, আস্তানা এবং মুর্শিদাবাদের কয়েকটি স্থানে তল্লাশি চালানো হয়। সিবিআইয়ের দাবি, এনামুল হক গরু পাচারের পাশাপাশি চাল কল, বাংলাদেশে চাল-পেঁয়াজ রফতানি, আবাসন ও নির্মাণ শিল্প, পাথর খাদান, বালির কারবারে যুক্ত। তার একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ১৩০ কোটি রুপি পাওয়া গিয়েছে। অন্য একটি অ্যাকাউন্টে ১০ লাখ ডলার রাখা ছিল।
[৪] বিএসএফ কমান্ডান্ট সতীশ কুমারের সল্টলেকে একটি বাড়ি ও একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এ ছাড়া, গাজিয়াবাদে তিনটি বাড়ি, দু’টি জমির প্লট, অমৃতসরে বাগানবাড়ি, মুসৌরিতে হোটেল, রায়পুর ও শিলিগুড়িতেও জমি-বাড়ি রয়েছে। বুধবার সব জায়গাতেই সিবিআই তল্লাশি চালিয়েছে। নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, পাচারের নেটওয়ার্কের এমন অনেক রাঘববোয়ালের বেনামি সম্পত্তি তারা হাতে পেয়েছেন।
[৫] এক সিবিআই কর্তা জানাচ্ছেন, সতীশ কুমারের মতো সাধারণ বিএসএফ অফিসারের সম্পত্তি দেখেই বোঝা যাচ্ছে, বড় মাথাদের টান মারলে কী বেরোতে পারে। সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছে সিবিআই।