তাপসী রাবেয়া:[২] সপ্তাহজুড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদমালেক, আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা সব জায়গায় প্রধান্য দিয়ে আলোচনা হচ্ছে করোনার দ্বিতীয় সংক্রমণ নিয়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আসতে পাওে ধাক্কা। আর তারই প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার।
[৩] সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্ত্বে মন্ত্রীসভার বৈঠকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে করোনার দ্বিতীয় সংক্রমণ ধাপে সরকারের প্রস্তুতি বিষয়ে। বুধবার আন্তঃমন্ত্রণালয়ের জরুরী বৈঠক করেন মন্ত্রীপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। এখনে প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে আলাদা আলাদা করে ১৫ দিনের মধ্যে কর্মপরিকল্পনা তৈরী করতে বলা হয়েছে।
[৪]স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় সুত্র বলছে, বেশ কয়েকদিন ধরে দ্বিতীয় সংক্রমণ মোকাবেলায় দফায় দফায় বৈঠক হচ্ছে।
[৫] স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।আমরা জোর দিচ্ছি ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য। বিশ্বের নয়টি কোম্পানির মধ্যে পাঁচ কোম্পানির সঙ্গে প্রায় কথা পাকা করে রেখেছে সরকার।
[৬]স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের সুত্রমতে, করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন বাজারে আসা মাত্র দ্রুততম সময়ে তা বাজাওে নিয়ে আসা। ঠান্ডাজনিত রোগ বা ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা ও ঔষধের পর্যাপ্ত সরবারহ সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা হবে।
[৭]করোনা চিকিৎসা মোকাবেলায় যে ওষুধ ব্যবহার হচ্ছে সেসব পর্যাপ্ত পরিমানে উৎপাদনে রাখা।পিসিআর টেস্টের পাশাপাশি এন্টিজেন টেস্ট করা হবে।প্রতিটি জেলায় একাধিক পরীক্ষাগার চালু করা।
[৮] যেসব হাসপাতালকে কোভিড বিশেষায়িত হাসপাতাল করা হয়েছিল প্রয়োজনে আবারও তা করা হবে।স্বাস্থ্যবিধি মানতে কঠোরতা প্রদর্শন করবে সরকার। এর অংশ হিসেবে মাস্ক ছাড়া বাইওে দেখা গেলে জরিমানা বা শাস্তির ব্যবস্থা করা হতে পারে।
[৯] কোনো ধরনের পিকনিক, জনসমাবেশ বা বিয়েতে অনেক মানুষের উপস্থিতি বন্ধ করা হবে।