বিডিনিউজ ২৪.কম : নতুন করোনাভাইরাস পরীক্ষার বাড়ানো ও দ্রুত ফল পেতে অ্যান্টিজেন টেস্টের অনুমোদন দিলেও দেশে সংক্রমণের সামগ্রিক চিত্র পেতে অ্যান্টিবডি টেস্টের বিষয়ে এখনই ভাবছে না সরকার।
অ্যান্টিজেন টেস্টের কার্যকারিতা দেখে অ্যান্টিবডি টেস্ট অনুমোদন দেওয়ার বিষয়ে চিন্তা করা হবে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “মাত্র আমরা অ্যান্টিজেন টেস্ট দিলাম। এটা তো এখনও চালুই হয় নাই। এটা আগে কার্যকর হোক, শুরু হোক আমরা দেখি কী দাঁড়ায়।
“তারপর অ্যান্টিবডি টেস্টের বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করা যাবে। আমরা চাই, মানুষ বেশি বেশি উপকার পাক। মানুষে যেটা দিয়ে বেশি উপকার পায় আমরা সেটাই করব।”
মানুষের শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্তে মুখ বা নাক থেকে নমুনা নিয়ে অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয়। অন্যদিকে শরীরে রোগের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কি না, তা দেখতে নমুনা হিসেবে রক্ত নিয়ে অ্যান্টিবডি টেস্ট করা হয়।
অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডি দুটোই র্যাপিড টেস্ট। তবে অ্যান্টিজেনের ফলাফল পাওয়া যায় ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের মাথায়। অ্যান্টিবডি টেস্টের ফলাফল পেতে কয়েক ঘণ্টা লাগে।
দেশে নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণের পুরো চিত্র সঠিকভাবে বুঝতে অ্যান্টিবডি টেস্ট চালুর পরামর্শ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম।
এই ভাইরোলজিস্ট বলেন, “যাদের অ্যান্টিবডি আছে তাদের পরবর্তীতে করোনাভাইরাস আক্রমণ করবে না- এটা মোটামুটি জানা যেত।
“একটা জনগোষ্ঠীর মধ্যে কতভাগ লোক অ্যান্টিবডি নেগেটিভ, এই রোগের ঝুঁকিতে আছে তা বোঝা যেত। তারা নিজেরাও বুঝতে পারত ঝুঁকিতে আছে। সে হিসেবে সতর্কতা অবলম্বন করতে পারত।”