সিরাজুল ইসলাম: [২] রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, সরকারের নথি এবং স্যাটেলাইট ছবি বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানিয়েছে ওয়াশিংটনের জেমসটাউন ফাউন্ডেশন। বিশেষজ্ঞরা এটাকে শ্রম শিবির বলে মনে করছেন। এটাকে জিনঝিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিম শিবিরের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। রয়টার্স
[৩] স্বশাসিত তিব্বতের নির্বাসিত প্রেসিডেন্ট লবসাং সাঙ্গাই বলেন, সেখানকার বাসিন্দাদের শিক্ষার নামে শ্রম শিবির এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে। গবেষণা প্রতিবেদনটির লেখক আদ্রিয়ান জেনজ। তিনি তিব্বত ও জিনজিয়ান প্রদেশ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ। তিনি বলেন, জানুয়ারিতে শিবিরগুলোতে পাঁচ হাজার মানুষকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। তারা কৃষক ও পশুপালক। কারা তিব্বতে এবং কারা মূল ভূখন্ডে কাজ করতে পারবে, তাও নির্ধারণ করে দিয়েছে শিবির কর্তৃপক্ষ।
[৪] প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য হলো কর্মশৃঙ্খলা, চীনা ভাষা ও কর্ম নৈতিকতার উন্নয়ন। এছাড়া অলস মানুষদের কাজে মনোযোগী করাও এর অন্যতম লক্ষ্য। প্রশিক্ষণ শেষে বেশিরভাগ মানুষকে কাপড় উৎপাদন, নির্মাণ ও কৃষিতে কম মজুরির কাজে নিয়োগ করা হয়।
[৫] তিব্বত দুর্গম ও বৌদ্ধ অধ্যুষিত অঞ্চল। সেখানকার বাসিন্দারা সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় স্বাধীনতা হরণ করার অভিযোগ করে আসছে। বেইজিং বলছে, হিমালয়ের পাদদেশের অঞ্চলটির উন্নতি ও সমৃদ্ধির চেষ্টা চালানো হচ্ছে। জিনজিয়াং প্রদেশের সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের অন্তবর্তী শিবিরে আটক রাখা, নজরদারি, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বিশ্বাসে বাধা এবং জোর করে বন্ধ্যাকরণের নানা অভিযোগ রয়েছে।