শেখ রোকন: চাইলে যে কেউ আমাকেও নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দিতে পারেন। স্যাটেয়ার করছি না, সিরিয়াসলি বলছি। যারা মনোনয়ন পেয়েছেন, তাদের প্রতি যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শন পূর্বক বলছি। দয়া করে কেউ ভুল বুঝবেন না, আহত হবেন না। নোবেল পুরস্কার কর্তৃপক্ষ তাদের ওয়েব সাইটে প্রাঞ্জল ভাষায় ঘোষণা করছে। যদিও নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বাছাই করার দায়িত্ব নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির, নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য এনি পারসন হু আর কোয়ালিফায়েড টু নমিনেট নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে মনোনয়ন জমা দিতে পারে। প্রশ্ন হচ্ছে, মনোনয়ন প্রদানের জন্য কারা কোয়ালিফায়েড? নোবেল কমিটি তাদের ওয়েব সাইটে ৯ ধরনের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কথা বলেছে। তার মধ্যে দুটো বলি : [১] যেকোনো দেশের জাতীয় সরকার প্রধান, জাতীয় সংসদের সদস্য, মন্ত্রীসভার সদস্য এই মনোনয়ন দিতে পারে। [২] যেকোনো স্বীকৃত বিশ^বিদ্যালয়ের ইতিহাস, সামাজিক বিজ্ঞান, দর্শন, ধর্মতত্ত্ব বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক, অধ্যাপক, ও সহযোগী অধ্যাপক। শান্তি গবেষণা বা পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক ইনস্টিটিউটের পরিচালক। এবার আপনিই বলুন, বাংলাদেশে বা বিশে^ এই ২ ধারার কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন সংগ্রহ করা কঠিন?
যেমন : এবছরও নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়নপত্র জমা হয়েছে ৩১৮টি। এর মধ্যে ২১১ জন ব্যক্তি ও ১০৭টি প্রতিষ্ঠান। আরও আছে। নোবেল কমিটি তাদের ওয়েবসাইটে বলেছে, মনোনয়নপ্রাপ্ত ও মনোনয়নদাতাদের তালিকা তারা কঠোর গোপনীয়তার সঙ্গে সংরক্ষণ করে। ৫০ বছর পার না হলে এটা প্রকাশ করে না। মহাত্মা গান্ধী যে দুইবার নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েও শেষ পর্যন্ত পাননি, সেটা জানা গেছে সাম্প্রতিক সময়ে। নোবেল কমিটির ফিফটি ইয়ার সিক্রেসি রুল বিভাগে বলা হয়েছে। কমিটি নিজে কখনো নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ছাড়া পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করে না। না মিডিয়ার কাছে, না প্রার্থীর কাছে। যদি কোনো নাম পাওয়া যায়, তা হয় নিবিড় ‘অনুমানকর্ম’ না হয় মনোনয়নের নেপথ্যে থাকা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাজ। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :