সালেহ্ বিপ্লব: [২] বিরোধীদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে রাজ্যসভায় বিতর্কিত বিল দুটি পাস করেছে বিজেপি সরকার। এখন শুধু রাষ্ট্রপতি সম্মতি জানালেই বিল দুটি আইনে পরিণত হবে। সোমবার ১৮টি বিরোধী দল বিল দুটিতে সম্মতি না দেয়ার জন্য রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ জানিয়েছে। এনডিটিভি, পিটিআই, আনন্দবাজার, টাইমস অব ইন্ডিয়া
[৩] বিজেপি সরকারের বক্তব্য, পাস হওয়া কৃষি বিল দুটি কৃষকদের পণ্যের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করবে। আর বাকি সব দল বলছে, ন্যায্য দাম পাওয়া তো দূরের কথা, এই দুটি আইন কৃষকদের মরণফাঁদ ছাড়া আর কিছু নয়। প্রস্তাবিত আইন কার্যকর হলে ফড়িয়া দালালদের দৌরাত্ম আরো বাড়বে। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্য, কৃষি ও কৃষকদের উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব। কোটি কোটি পরিবার এই সিদ্ধান্তের ফলে উপকৃত হবেন।
[৪] বিল পাসের সময় রাজ্যসভায় প্রতিবাদ করে হালে পানি পায়নি বিরোধী দল। বরং বহিস্কার হয়েছেন রাজ্যসভার ৮ সদস্য। কিন্তু এতে করে বিন্দুমাত্র দমতে রাজি নয় বিরোধী দলগুলো। কৃষক সংগঠনগেুলোর সঙ্গে একাট্টা হয়ে দেশব্যাপী বড়ো ধরনের আন্দোলন গড়ে তোলার পরিকল্পনা তাদের।
[৫] আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর সর্বাত্মক প্রতিবাদের ডাক দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। ওই দিন ভারত বন্ধের ডাক দিয়েছে সর্বভারতীয় কৃষক সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি। তাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশে করেছে ১০টি ট্রেড ইউনিয়ন। কিষাণ সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য শাখার আহ্বায়ক এবং সিপিএমের কৃষক সভার নেতা অমল হালদার বলেছেন, ওই দিন গ্রামীণ জেলাগুলিতে গঞ্জ ও বাজার এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ হবে। পাশাপাশি জাতীয় ও রাজ্য সড়কে সাড়ে চার ঘণ্টা অবরোধ করা হবে। কৃষকদের প্রতিবাদে সমর্থন দেয়ায় কংগ্রেসকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
[৬] পাঞ্জাবে শুক্রবারের কৃষক ধর্মঘটে সর্বাত্মক সহযোগিতার ঘোষণা দিয়েছে আম আদমী পার্টি।
[৭] তামিলনাড়ুতে কৃষকদের সঙ্গে মাঠে থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল ডিএমকে। ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে দলীয়ভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচী শুরু করা হবে বলে জানান ডিএমকে প্রধান এম কে স্ট্যালিন।
[৮] কংগ্রেস বিক্ষোভ শুরু করবে একদিন আগেই, বৃহষ্পতিবার। কংগ্রেসের এমপি রাহুল গান্ধী ও প্রতাপ সিংহ বাজওয়া নেতৃত্ব দেবেন ওইদিনের দেশব্যাপী বিক্ষোভে।
[৯] বৃহষ্পতিবার সারা ভারতে বিক্ষোভের পাশাপাশি ২ কোটি কৃষকসহ সাধারণ জনতার গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করতে শুরু করবে কংগ্রেস। এই গণস্বাক্ষর প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দের কাছে পেশ করা হবে ১৪ নভেম্বর, যেদিন জওহরলাল নেহেরুর জন্মদিন।
[১০] কংগ্রেস নেতা কে সি বেনুগোপাল বলেন, ২ অক্টোবর মহাত্মা গান্ধী ও লালবাহাদুর শাস্ত্রীর জন্মদিন। দিনটিকে ‘কৃষক ও কৃষি শ্রমিক বাঁচাও দিবস’ হিসেবে পালন করা হবে। বিতর্কিত বিল দুটি প্রত্যাহারের দাবিতে ভারতের সব রাজ্য ও জেলায় প্রতিবাদী মিছিল ও সমাবেশ হবে। পিটিআই
[১১] পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসও কৃষকদের আন্দোলনে পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :