এইচ এম শাহনেওয়াজ: [২] রাজশাহীর পুঠিয়ায় কেন্দ্রীয় নেতাদের শুভেচ্ছা জানানোকে কেন্দ্র করে উপজেলা ছাত্রদলের দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে করে উভয় গ্রুপের ৪ জন আহত হয়েছে। আহতরা পুঠিয়া হাসপাতালে ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
[৩] রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে পুঠিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
[৪] ছাত্রদলের দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সহ-সভাপতি সাজিদ হাসান বাবু দলীয় কাজে রাজশাহী আসছিল। পথে স্থানীয় ছাত্রদলের অনুরোধক্রমে পুঠিয়া সদর এলাকায় যাত্রা বিরতির সময় কেন্দ্রীয় ছাত্র নেতারা পুঠিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকার আলী হোসেন মার্কেটের নিকট আসেন।
[৫] সে সময় সাবেক সাংসদ অ্যাড. নাদিম মোস্তফা সমর্থিত ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু বাক্কার সিদ্দিক সমর্থিত ছাত্রদল নেতাকর্মীরা ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে যায়। এ সময় দু’গ্রুপের মধ্যে ধাক্কা-ধাক্কি শুরু হয়। পরে বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টিগোচর হলে তারা এখানে যাত্রা বিরতি না দিয়ে রাজশাহী মহানগরের দিকে চলে যান। এরপর উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাণ্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এতে করে ৪জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ইটের আঘাতে জেলা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান জুয়েল গুরুতর আহত হয়।
[৬] বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতারা আমার সাথে স্বাক্ষাতের পর রাজশাহী মহানগরের দিকে চলে যাচ্ছিল। সে সময় নাদিম মোস্তফা সমর্থিত সাবেক উপজেলা বিএনপি নেতা আল মামুনের নেতৃত্বে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাদের জোর করে গাড়ি থেকে নামাতে গিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে ঝামেলা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষে আমাদের একজন ছাত্র নেতা আহত হয়ে পুঠিয়া হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
[৭] তবে সাবেক উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আল মামুন খান বলেন, ছাত্রদলের ছেলেরা কেন্দ্রীয় নেতাদের দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে আপ্যায়ন করতে চেয়েছিল। কিন্তু সেখানে বাক্কারের লোকজন বাধা দিলে ছাত্রদলের ছেলেরা তাদের প্রতিহত করেছেন।
[৮] এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্র নেতারা পুঠিয়াতে নামার পর বিএনপির একজন জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বলেছেন, এখানে নাদিম মোস্তাফার সমর্থিতদের কোনো রাজনীতি চলবে না। এ কথা বলার পরই উভয় গ্রুপের মধ্যে একটু ধাক্কা-ধাক্কি হয়েছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :