সমীরণ রায়: [২] টানা তৃতীয় দফায় ক্ষমতায় থাকায় আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে কেউ কেউ বনে গেছেন কোটিপতি। শুধু তাই নয়, কারো কারো বিরুদ্ধে ক্যাসিনো ব্যবসা, ক্ষমতার দাপট, নারী কেলেঙ্কারীসহ অবৈধ সম্পদক অর্জনসহ অনৈতিক কর্মকাণ্ডেরও অভিযোগ উঠেছে। এতে দল ও সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হওয়ায় দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দলে শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে। এরই ধারবাহিতকায় দলটির ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ, আওয়ামী যুবলীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষকলীগ, মৎস্যজীবী লীগ ও তাঁতী লীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলোতে সৎ, শিক্ষিত ও ত্যাগিদের সমন্বয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেয়া হবে। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যোগ্যতা সম্পন্ন নেতাদের তালিকা দলীয় কার্যালয়ে জমা দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে দলটি।
[৩] আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা সাংগঠনিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও সহযোগী কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার ক্ষেত্রে প্রবীন-তরুণদের সমন্বয়ে পরীক্ষিত নেতাদের মূল্যায়নে নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যারা দলের দুঃসময়ে রাজপথে ছিলেন, অনেকে অভিমানে দূরে আছে। তাদের খুঁজে বের করতে হবে। সিনিয়রদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রাখাতে হবে। সহযোগী সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ত্যাগী ও গ্রহণযোগ্য নেতাদের রাখার নির্দেশনা দেন তিনি।
[৪] আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সহযোগী সংগঠনগুলোর তালিকা জমা দেয়ার পর, যাচাই-বাছাই করে পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের নাম আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে।
[৫] স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ বলেন, আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের নির্দেশনা রয়েছে, যারা দুঃসময়ে দলের জন্য কাজ করেছেন ও ত্যাগি তাদের সমন্বয়ে কমিটি করার। আমরা সেই মোতাবেক তালিকা দিয়েছি।