শিরোনাম
◈ ভারত–বাংলাদেশ নিরাপত্তা সংলাপ: দুই দিনের বৈঠকে ‘ইতিবাচক বার্তা’ ◈ পেশাগত নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও কর্মক্ষেত্র নিরাপত্তায় বৈপ্লবিক অগ্রগতি—আইএলওর ১০টি মৌলিক দলিল অনুমোদন করলো বাংলাদেশ ◈ প্রবাসী ভোটারদের রেকর্ড সাড়া—পোস্টাল ভোট অ্যাপে কোরিয়া-জাপান এগিয়ে ◈ সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে সম্মতি খালেদা জিয়ার ◈ আজ সশস্ত্র বাহিনী দিবস ◈ চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে চুক্তির সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ ◈ শ্রীলঙ্কাকে ৬৭ রা‌নে হারা‌লো  জিম্বাবুয়ে  ◈ রায়ের পর হাসিনাকে ফেরত দেয়ার দাবি জোরালো হচ্ছে ◈ রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি, চার মাসে এলো এক লাখ ১৯ হাজার কোটি টাকা ◈ প্রবাসী ভোটারদের সতর্কতা: ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর না দিলে পোস্টাল ভোট বাতিল

প্রকাশিত : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৮:৩০ সকাল
আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৮:৩০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অমুসলিমকে বিয়ে করেছিলেন, পাকিস্তানকে দেখলে আফসোস করতেন জিন্নাহ: তসলিমা নাসরিন

ডেস্ক রিপোর্ট : পাকিস্তানকে আজ দেখলে আফশোষ করতেন জিন্না। এমনটাই লিখলেন তসলিমা। বৃহস্পতিবার জিন্নাকে নিয়ে পরপর দুটি ট্যুইট করেছেন তিনি। ধর্ম নিয়ে বরাবরই খোলামেলা কথাবার্তা বলেন তিনি। এবার জিন্নাকে নিয়ে মুখ খুললেন তিনি।

তিনি লিখেছেন, জিন্না অ-মুসলিম মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন। তাঁর স্ত্রী’র নাম রত্তনবাই জিন্না। আর তাঁদের একমাত্র মেয়ে দিনা ওয়াদিয়াও অ-মুসলিম পরিবারে বিয়ে করেছিলেন। তসলিমার দাবি, জিন্নাও সম্ভবত নাস্তিক ছিলেন, অথচ ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগ করে দেন তিনি।

তসলিমার মতে, আজ যদি সেই জিন্না তাঁর পাকিস্তানকে দেখতেন, তাহলে নিশ্চয় আফশোষ করতেন।

ইশতিয়াখ আহমেদ নামে পাক বংশোদ্ভুত সুইডিশ রাজনৈতিক গবেষক সম্প্রতি নিজের নতুন বই Jinnah: His Successes, Failures and Role in History’-তে জিন্নাকেই ভারত ভাগের জন্য পুরোপুরি দায়ী করেছেন তিনি।

সম্প্রতি ইশতিয়াখ আহমেদ নামে জানাচ্ছেন জিন্না ধর্মের ভিত্তিতে ভেদাভেদে বিশ্বাসী ছিলেন। কংগ্রেসকে বেকায়দায় ফেলার কোনও সুযোগই নষ্ট করেননি তিনি। একাধিকবার কংগ্রেসকে হিন্দু পার্টির তকমা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন জিন্না। মহাত্মা গান্ধীকে বর্ণহিন্দু বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি। ইশতিয়াখ তাঁর বইয়ে লিখেছেন ১৯৪০ সালের ২২শে মার্চের কথা। লাহোরে দাঁড়িয়ে জিন্নার বক্তব্য তুলে ধরেছেন তিনি।

ইশতিয়াখ আহমেদ জানাচ্ছেন জিন্না নিজের বক্তব্যে বলেছিলেন ঐক্যবদ্ধ ভারতের বিপক্ষে। মুসলিম লিগও তাতে সমর্থন জানিয়েছিল। এই বিষয়ে একটি রেজোলিউশনও পাশ হয়ে যায় ওই মাসেরই ২৪ তারিখ।

অন্যদিকে পাকিস্তানি-আমেরিকান ইতিহাস গবেষক আয়েশা জালাল জানাচ্ছেন জিন্না কংগ্রেসের সঙ্গে ক্ষমতা বন্টনের বা ভাগাভাগিতে রাজি ছিলেন না। ১৯৩০ সালের শুরু থেকেই ভারত ভাগের পরিকল্পনা ছকে রেখেছিলেন তিনি। তিনি ভেবেছিলেন ব্রিটিশ রাজ যখনই ভারত ত্যাগ করুক না কেন, কেন্দ্রে ক্ষমতায় যিনি বসবেন, তার সঙ্গে ভাগাভাগি করতে হবে গদি। এই সমীকরণে রাজি ছিলেন না তিনি। ফলে পাকিস্তানের জন্ম। যেখানে সর্বেসর্বা ছিলেন জিন্না।

প্রায় একই কথা বলেন ইশতিয়াখ আহমেদ। তাঁর বইতে তিনি বলেন নিজের বক্তব্যে, ভাষণে ভারত ভাগের ভাবনাই তুলে ধরতে চেয়েছিলেন জিন্না। ভারত যাতে ঐক্যবদ্ধ না হয়, তার জন্য সবরকম চেষ্টা করেছিলেন তিনি। আর সেই কাজে সাফল্যও পেয়েছিলেন।
সূত্র-কলকাতা২৪x৭

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়