লিহান লিমা: [২] গত ৯ আগস্টের বিতর্কিত নির্বাচনের পর থেকে বেলারুশের বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মারিয়া কোলেনিস্কোভা। দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাকে জাতীয় নিরাপত্তা ভঙ্গ করার প্রচেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিবিসি/দ্য গার্ডিয়ান/ইয়ন
[৩]গত ২৬ বছর ধরে বেলারুশকে নেতৃত্ব দেয়া একনায়ক প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর বিরুদ্ধে লড়াই করছেন দেশটির তিন নারী। এর মধ্যে বিরোধী দলের নেত্রী শ্বেতলানা তিখানোভস্কায়া লিথুয়ানিয়ার রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন। অন্য নেত্রী ভেরোনিকা সেপাকালোও দেশ ছেড়েছেন। মারিয়া বেলারুশে থেকেই বিক্ষোভকারীদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বেলারুশের কর্তৃপক্ষ তাকে দেশ থেকে বিতাড়নের চেষ্টা করছে।
[৪]প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, গত সপ্তাহে মারিয়াকে কিছু মুখোশধারী ব্যক্তি অপহরণ করে ইউক্রেন সীমান্তের কাছে নিয়ে আসে। কিন্তু মারিয়া তার পাসপোর্ট নষ্ট করে গাড়ির জানালা দিয়ে ফেলে দেন। মারিয়ার আইনজীবী জানিয়েছেন, ‘বেলারুশ না ছাড়লে তাকে ২৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে।’
[৫]নির্বাচনের পর থেকে গত ৫টি রোববারই রাজধানী মিনস্কে প্রায় ১ লাখেরও বেশি বিক্ষোভকারী জড়ো হয়ে লুকাশেঙ্কোর পদত্যাগ দাবী করছেন। এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৭ হাজার বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, ৫’শজনকে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে।
[৬]লুকাশেঙ্কো বলছেন, তিনি নির্বাচনে ৮০ শতাংশ জয় পেয়েছে। তবে জনগণ জালিয়াতি ও ভোট কারচুপির অভিযোগ আনছে। তাদের একটাই স্লোগান ‘লুকাশেঙ্কো দূর হও।’
[৭]ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের কাছ থেকে সমর্থন পাচ্ছেন লুকাশেঙ্কো। গত সোমবার মস্কো গিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর বেলারুশকে ১.৫ বিলিয়ন পাউন্ড ঋণ দেয়ার ঘোষণা দেয় রাশিয়া।
[৮]এদিকে ইউরোপিয় ইউনিয়নে প্রধান কূটনৈতিবিদ জোসেফ বোরেল এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ইউরোপিয় পার্লামেন্ট কখনোই জালিয়াতি পূর্ণ নির্বাচনে বিজয় দাবী করা লুকাশেঙ্কোকে স্বীকৃতি দেবে না।’