আশরাফ আহমেদ: [২] কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে রোপা -আমন মৌসুমে মাঠে মাঠে পার্চিং দিয়ে ধান ক্ষেতের পোকা দমন করছে কৃষক। এতে পোকা দমনে কীটনাশকের ব্যবহার বহুলাংশে কমে যাচ্ছে। ফলে ধান উৎপাদন খরচ অনেকাংশেই কমে যাবে বলে জানান স্থানীয় চাষীরা।
[৩] রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভাসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিভিন্ন মাঠে ঘুরে দেখা যায়, কৃষক ধান ক্ষেতে পোকা দমনে গাছের ডাল, বাঁশের কঞ্চি পুতে রেখেছে এবং ওইসব ডালে ও কঞ্চিতে পাখিরা বসে বিভিন্ন পোকামাকড় ধরে খাচ্ছে।
[৪] কৃষি কর্মকর্তাদের মতে পার্চিং একটি কার্যকর পোকা দমন ব্যবস্থা। এতে কৃষক যেমন স্বল্প পরিশ্রমে লাভবান হয়। এই পদ্ধতিটি এলাকার প্রতিটি কৃষকগন ব্যাপকভাবে গ্রহণ করছে এবং ভালো উপকার পাচ্ছেন। এতে করে এলাকার কৃষকগণ উপকারি ও অপকারি পোকা সহজে চিনতে পারছে। এলাকার কৃষকেরা যে কোন পোকা দেখলেই কীটনাশক দিতে হবে এই ধারনা যে ভুল তা সহজেই বুঝতে পারছে।
[৫] কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, পাখি পার্চিং এ বসে একটি ক্ষতিকারক পোকা খেলে ২৫০-১৫০টি পোকা দমন হয় ।কারন একটি ক্ষতিকারক পোকা ২৫০-১৫০টি ডিম পাড়ে। তবে পার্চিং জমির আইল থেকে ধান ক্ষেতের মাঝামাঝি অবস্থায় দেয়াই ভালো।
[৬] উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ইমরুল কায়েস জানান , জমিতে পার্চিং করলে পাখি সহজেই ফসলের ক্ষতিকারক পোকা খেয়ে ধ্বংস করে। পোকা বংশ বিস্তার করতে পারে না। এতে কৃষক অনেক উপকৃত হয়। এতে বহুলাংশে কীটনাশকের ব্যবহার কমে যাবে বলে জানান তিনি। সম্পাদনা: হ্যাপি