শিরোনাম
◈ ওড়না কেড়ে নিয়ে পুরুষ কর্মকর্তাদের উল্লাস, নারী বন্দিদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ◈ রেকর্ড উৎপাদনের সুফল কোথায়? চালের বাজারের চালকের আসনে কারা? ◈ পবিত্র আশুরা আজ ◈ তরুণ ক্রিকেটার তানভীরের ফাইফারে সিরিজ সমতায় বাংলাদেশ ◈ 'শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দখল করেছে জামায়াত': গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ◈ ১৪ হাজার কোটি রুপি কেলেঙ্কারি, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ভারতের নেহাল মোদি (ভিডিও) ◈ মোবাইল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিস থেকে রক্তাক্ত ট্র্যাজেডি ◈ জাতীয় নির্বাচনে বাধা দেওয়ার শক্তি কারো নেই: কেরানীগঞ্জে বিএনপি সমাবেশে সালাহ উদ্দিন আহমদের হুঁশিয়ারি ◈ তুর্কমেনিস্তানকে কাঁ‌পি‌য়ে দি‌লো বাংলা‌দেশ, এশিয়ান কাপে যাচ্ছে ঋতুপর্ণারা ◈ চী‌নে জু‌নিয়র হ‌কি‌তে একদিনে বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী দ‌লের জয়

প্রকাশিত : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১১:০৭ দুপুর
আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১১:০৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] বৃক্ষরোপণ নেশায় পরিণত হয়েছে প্রকৌশলী টুটুলের

ইবি প্রতিনিধি: [২] আমাদের সমাজে কিছু ব্যতিক্রমধর্মী মানুষ আছেন, যারা সবসময় সবার অগোচরে পরিবেশকে সুন্দর ও দূষণমুক্ত রাখতে নিস্বার্থভাবে কাজ করে চলছেন। ঠিক এমনই একজন পরিবেশবান্ধব বৃক্ষপ্রেমী হলেন কুষ্টিয়া, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রধান প্রকৌশলী (ভারঃ) আলিমুজ্জামান টুটুল।

[৩] স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান, ক্যাম্পাসসহ বিভিন্ন জায়গায় নিজ খরচে বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ রোপন করে যাচ্ছেন তিনি।

[৪] প্রতিটি মানুষেরই কিছু ভালো মন্দ নেশা থাকে। আর প্রকৌশলী টুটুলের নেশা হচ্ছে বৃক্ষরোপণ করা। পেশায় প্রকৌশলী হলেও, নেশায় তিনি বৃক্ষ প্রেমিক ও পুরোদস্তুর সমাজসেবক। যিনি গত দুই দশক ধরে কুষ্টিয়ায় বনায়ন ও সমাজসেবা করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সদা পরোপকারী এই মানুষটির সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় প্রকৌশলী টুটুল জানান, বস্তুত বৃক্ষের সাথে আমার সখ্যতা অনেক বছরের। সেই ১৯৯৩ সালের ঘটনা, হঠাৎ একদিন ভ্যান ভর্তি গাছের চারা নিয়ে আমার গ্রাম কুষ্টিয়ার হাটশ হরিপুরের এক স্কুলে গেলাম। সেখানে শিক্ষার্থীদের প্রকৃতিতে গাছের গুরুত্ব ও অপরিহার্যতা সম্পর্কে বোঝালাম। আমার কথায় শিক্ষার্থীরা দারুণ ভাবে উদ্বুদ্ধ হলো। ফলে আমিও উৎসাহ পেলাম। সেখান থেকেই শুরু। এরপর গত দুই দশকে প্রায় ১০ লাখ বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ করেছি।

[৬] এছাড়া ২০০৬ সালে ইবিতে যোগদানের পর থেকে এ পর্যন্ত তিনি নিজ অর্থায়নে ক্যাম্পাসে প্রায় ২০ হাজার বৃক্ষরোপণ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বর্ধনে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ নিয়ে গড়ে তুলেছেন ফুল বাগান। চাকরি থেকে সঞ্চিত অর্থ ও রাত জেগে বাড়ির ডিজাইন করে প্রাপ্ত আয় থেকে করেন সমাজ সেবাও। বছরজুড়ে তিনি নানাভাবে দরিদ্রদের সহযোগিতা করে থাকেন। করোনাকালে প্রায় ৫০০০ হাজার কর্মহীন মানুষকে খাদ্য ও অর্থ দিয়ে সহায়তা করছেন। সবুজ বনায়নের লক্ষ্যে তিনি গড়ে তুলেছেন গ্রিন চাইল্ড নামক সংগঠন। নিজ এলাকায় তার তত্ত্বাবধানে তৈরী করেছেন মসজিদ। এসব কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১২ সালে মনোনীত হয়েছেন খুলনা বিভাগের শ্রেষ্ঠ সমাজসেবক।

[৭] এবিষয়ে প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুল বলেন, বৃক্ষরোপণ ও বিতরণের এ ধারা অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি আমি ভবিষ্যতে বৃদ্ধাশ্রম প্রতিষ্ঠা করতে চাই, সেজন্য ইতিমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছি। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়