শরিফুল হাসান: খিচুড়ি রান্না শিখতে এক হাজার সরকারি কর্মকর্তাকে বিদেশ পাঠানোর প্রস্তাব কীভাবে মাথায় আসতে পারে, সেটা আমার মাথায় ঢুকে না। এই যে পুকুর কাটা থেকে শুরু করে আজব সব কাজে আমাদের সরকারি কর্তারা বিদেশ সফরে যান, এর মাজেজা কী। আমার মনে আছে, কক্সবাজার সৈকতের উন্নয়ন দেখতেও বিদেশে ভ্রমণের পরিকল্পনা ছিল। আচ্ছা স্বাধীনতার পর গত ৫০ বছরে সরকারি কর্তাদের বিদেশ সফরে ঠিক কতো হাজার কোটি টাকা ব্যায় হয়েছে? সরকারি কর্মকর্তারা এই বাবদ কতো টাকা পেয়েছে? এর ফলাফল কী?
আফসোস লাগে, এই দেশে ২০০ টাকার জিনিসের দাম দুই লাখ টাকা ধরে আজব সব প্রকল্প হয়, জুম মিটিংয়েও আপ্যায়নে কোটি টাকা লাগে আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে বললে অতিরিক্ত সচিব ওএসডি হন। না, আমি বলছি না প্রয়োজনে বিদেশে যাবেন না। প্রয়োজন হলে অবশ্যই যাবেন। কিন্তু এই যে আমাদের সরকারি কর্মকর্তারা এতো বিদেশে সফরে যান তারা কী ওই দেশগুলো থেকে আদৌ কিছু শিখে আসেন? শিখলে বাংলাদেশের রাস্তাঘাট-গণপরিবহন-স্বাস্থ্য সেবা-ওয়াসা-তিতাসসহ সব সেবা সংস্থার এই দশা কেন?
আচ্ছা বলেন তো বিদেশের কোনো ভালো জিনিসটা শিখে আমরা নিজের দেশে কাজে লাগাতে পেরেছি? জনগণের টাকার এমন অপব্যবহার আর কতোবছর চলবে? থাক এসব কথা আর না বলি। এর চেয়ে বরং বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের শিরোনামটা দেখি। খিচুড়ি রান্না শিখতে চান? চলেন বিদেশে যাই। ফেসবুক থেকে