রাশিদুল ইসলাম : [২] গত ১০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ভারতে ইলিশ রফতানির অনুমতি দেয়। ১৪৫০ মেট্রিক টন পদ্মার ইলিশের প্রথম চালান হিসেবে কলকাতা, হাওড়া ও তার আশের পাশের বাজারে ২০ মেট্রিক টন ইলিশ পৌঁছার পর ক্রেতা ও বিক্রেতার চোখে আনন্দের ঝিলিক দেখা যায়। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। অনেক টালবাহানার পর পশ্চিমবাংলার রাজ্যে এল পদ্মার ইলিশ। দি ওয়াল
[৩] হাওড়া হোলসেল ফিস মার্কেট অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ জানান, আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যে পদ্মার ইলিশ আরও ঢুকবে। গতবারের তুলনায় বাংলাদেশ থেকে অনেক বেশি পরিমাণ পদ্মার ইলিশ এখানকার বাজারে আসবে। তিনি বলেন, ‘৮০০ থেকে ১২০০ গ্রাম পর্যন্ত মাছের পাইকারি বাজারে দাম হতে পারে আটশো থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত। খুচরা বাজারে এই দাম আরও একটু বেশি হবে।’
[৪] তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে রাজনৈতিক টানাপড়েনের কারণে বেশ কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ সরকার ভারতে ইলিশ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তবে গত বছর রাজ্য সরকারের অনুরোধে বাংলাদেশ সরকার ৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানি করেছিল। এই বছর ওই দেশের সরকার প্রায় তিন গুণ ইলিশ রফতানির অনুমতি দেওয়ায় খুশি হাওড়া পাইকারি মাছ বাজারের ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, ‘ইলিশ ঢুকল রান্না পুজোর আগে। দুর্গাপুজোর সময়ও জারি থাকবে ইলিশের রফতানি। করোনার দাপটে ম্রিয়মান পূঁজা মিষ্টি পানি সুস্বাদু ইলিশে খানিকটা হলেও প্রাণ পাবে।’
[৫] এদিকে পাইকারি বাজারে পদ্মার ইলিশ এসেছে জেনে খুচরো বাজারের ক্রেতারাও অনেকেই চলে আসেন। তেমনই একজন বন্দনা পাল বলেন, ‘‘এ বার মোটে ইলিশ পাইনি। তাই পদ্মার ইলিশ এসেছে শুনেই চলে এসেছি। দাম দর দেখতে। বাজারে তো আসবেই। তখন কিনব।’’