বিপ্লব বিশ্বাস : [২] জেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দকে ঘটনার তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেছি। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে সাথে সাথে বহিষ্কার। এক্ষেত্রে কোন ছাড় নয়। বিয়ের আসর থেকে ছাত্রী অপহরণের চেষ্টা ছাত্রলীগ নেতার-খবরটি পরেই এ হুশিয়ারী দেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্য।
[৩]আজ আমাদের সময়.কমকে তিনি আরো বলেন, জাতীয় দৈনিক এবং অনেক নিউজ প্রোটালে, পিরোজপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অনিরুজ্জামান অনিকের বিরুদ্ধে বিয়ে বাড়ি থেকে ছাত্রী অপহরণ সক্রান্ত খবরটি পড়েছি। পরপরই সংশিষ্ট জেলার নেতাদের তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়।
[৪]এদিকে শনিবার রাতেই এ ঘটনায় মেয়ের বাবা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অনিরুজ্জামান অনিকসহ এ ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার পরই আসামীরা পলাতক। কলেজছাত্রীর পরিবার ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার বিকেলে পিরোজপুর পৌরসভার শিক্ষা অফিস সড়কে ওই কলেজছাত্রীর বাসভবনে বিয়ের আক্দ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বরপক্ষ কনের বাড়িতে যান। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে আক্দ অনুষ্ঠান শুরুর আগে পিরোজপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অনিরুজ্জামান লোকজন নিয়ে মেয়েটির বাড়িতে যান। এরপর ঘরে ঢুকে বরপক্ষের সামনে তিনি মেয়েটিকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় অনিরুজ্জামান পিস্তল বের করে ভয় দেখান।
[৫] সেখানে উপস্থিত আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের বাধার মুখে তিনি সবাইকে হুমকি দিয়ে চলে যান। এ ঘটনার পর বরপক্ষের লোকজন ভয়ে বিয়ে বন্ধ করে চলে যান। সন্ধ্যায় খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
[৬] পিরোজপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অনিরুজ্জামানের ভাষ্য, ‘ওই মেয়ের সঙ্গে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলীমের প্রেমের সম্পর্ক আছে। আমি কয়েকজনকে মেয়েটির বাসায় পাঠাই। তাঁরা মেয়েটির বাবাকে বিয়ে বন্ধ করে আলীমের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন। মেয়েটিকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা হয়নি। আমি নিজে সেখানে যাইনি।’
[৭] পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নূরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :