আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] এক স্বেচ্ছাসেবকের পার্শ¦প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়ায় অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ডের এই ট্রায়াল বন্ধ করা হয়েছিলো। গত মঙ্গলবার অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানায়, একজন স্বেচ্ছাসেবী অসুস্থ হয়ে গেছেন। এর কারণ ভ্যাকসিন কিনা তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। বিবিসি, ডেইলি মেইল
[৩] শনিবার অক্সফোর্ড জানায়, এই ভ্যাকসিনটি নিরাপদ। তাই ট্রায়াল বন্ধ রাখার আর কোনও যৌক্তিকতা নেই। গবেষণারত সকল ভ্যাকসিনের মধ্যে এটিকে শুরু থেকেই অনেক বেশি সম্ভাবনাময় বলেই মনে করা হচ্ছিলো।
[৪] বিবৃতিতে অক্সফোর্ড জানিয়েছিলো, এতো বড় ট্রায়ালের বেশ কিছু রোগী অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন, এই ব্যাপারে তাদের ধারণা ছিলো। যুক্তরাজ্য সরকারের প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা স্যার প্যাট্রিক ভ্যালেন্স বুধবারই বলেছিলেন, অক্সফোর্ড ট্রায়ালে যা হয়েছে তা মোটেও অস্বাভাবিক নয়।
[৫] যুক্তরাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রক আর স্বাধীন নিরাপত্তা রিভিউ কমিটির পরামর্শেই গবেষণা আবার শুরু হচ্ছে। এক টুইট বার্তায় ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক আবার ট্রায়াল শুরুর বিষয়টিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন তার দেশ নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। তবে বিজ্ঞানীদের পরামর্শও এড়ানোর সুযোগ নেই।
[৬] অক্সফোর্ড জানিয়েছে তারা স্বেচ্ছাসেবকের পরিচয় বা সমস্যার ধরন প্রকাশ করবে না। তবে এক প্রতিবেদনে নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, এই ব্যক্তি ট্রান্সভার্স মিলিটিসে ভুগছেন। যা একটি প্রদাহজনিত সমস্যা। এই রোগ ভাইরাল ইনফেকশানের কারণে হতে পারে। একে স্পাইনাল কর্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :