তরিকুল ইসলাম : [২] শুক্রবার সন্ধ্যায় ফোনালাপে যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্স সেক্রেটারি ড. মার্ক টি. এসপার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ও মহামারি মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছেন।
[৩] এ সময় বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর আধুনিকায়নসহ দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা অগ্রাধিকার বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।
[৪] সকল দেশের সার্বভৌমত্ব নিশ্চিতে অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের প্রতি তাদের যৌথ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
[৫] সামুদ্রিক ও আঞ্চলিক সুরক্ষা, বৈশ্বিক শান্তিরক্ষা এবং বাংলাদেশের সামরিক সামর্থ্যকে আধুনিকীকরণের উদ্যোগসহ সুনির্দিষ্ট দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা বিষয়ক অগ্রাধিকারগুলো আলোচনায় স্থান পায়।
[৬] ২০১৬ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি ভিশন ঘোষণা করে।
[৭] ২০১৯ সালে ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজিতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে বাংলাদেশ কাজ করতে সম্মত হওয়ার পর থেকেই মূলত এ অঞ্চলে বাংলাদেশের আলাদা গুরুত্ব দেওয়া শুরু করেছে দেশটি।
[৮] পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও সে সময় সম্মত হয় যে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি এবং অবকাঠামো প্রকল্পে উভয় দেশ একসঙ্গে বাস্তবায়ন করবে।
[৯] ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি যুক্তরাষ্ট্রের একটি ভিশন যার লক্ষ্য হচ্ছে এই অঞ্চলে স্বচ্ছ ও সুশাসন-ভিত্তিক গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।
[১০] ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবিরের মতে, ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজিতে নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক কমপোনেন্ট আছে।
[১১] সাবেক রাষ্ট্রদূত মুনশি ফায়েজ আহমেদ বলেন, ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া সবগুলো দেশই যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু কিন্তু তারা চীনের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে চলে। ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি একটি ভিশন এবং সবাই নিজেদের জাতীয় স্বার্থ দিয়ে এটিকে বিবেচনা করে এবং এ কারণে এটি প্রতিটি দেশের জন্য আলাদা অর্থ এবং গুরুত্ব রাখে। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব
আপনার মতামত লিখুন :