দেবদুলাল মুন্না:[২] নিজেদের পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় (১ লাখ ৪০ হাজার সার্কুলেশন) ইংরেজি দৈনিক দাবি করা সংবাদমাধ্যমটির বিজনেস পেজে গতকাল শনিবার রিপোর্টটি প্রকাশ করা হয়েছে। লেখকের নাম, মনসুর আহমদ। শিরোানাম, ‘অ্যা স্টোরি অব নেগলেট’।
[৩] মনসুর আহমদ লিখেছেন, অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য সামাজিক ক্ষেত্রে বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ এক্ষেত্রে উদাহরণ। দুই দশক আগেও যাদের তলাবিহীন ঝুড়ি বলা হতো, সেই দেশটি এখন দারিদ্র্য হ্রাস করছে। অন্যদিকে গত দুই বছর ধরে আমাদের (পাকিস্তানের) মাথাপিছু আয় কমছে। এমনকি আফগানিস্তানের চেয়েও আমাদের কম। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় পাকিস্তানের চেয়ে বেশি । শিক্ষাক্ষেত্রে পাকিস্তানের চেয়ে প্রাথমিকে তালিকাভুক্তির হার বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি। আর আমাদের সবচেয়ে কম।পাকিস্তানের তুলনায় বাংলাদেশে শিশুমৃত্যু অর্ধেক। আবার বাংলাদেশ পোলিও মুক্ত দেশ।
[৪] নারীদের অগ্রযাত্রার ক্ষেত্রে লেখাটিতে বলা হয়েছে, এই অঞ্চলের অধিকাংশ দেশের তুলনায় বাংলাদেশ নারীদের উন্নতির জন্য বেশি পদক্ষেপ নিয়েছে। তাদের জন্য ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা সফল পরিবার পরিকল্পনা প্রোগ্রামের মাধ্যমে শুধু গর্ভধারণই কমায়নি, নারীদের জীবনমানেও পরিবর্তন এনেছে।
[৫] এ লেখা সম্পর্কে ওই পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক গতকাল হিন্দুস্থান টাইমসকে বলেন, আমরা অনেক রক্ষণশীল পাকিস্তানীদের বিরাগভাজন হতে পারি। কিন্তু সত্যটা না জানালে আরও পিছিয়ে পড়ব বলে মনে করছি। এখানে কোনো রাজনীতি নেই।