শিরোনাম
◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ ◈ আরব আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান  ◈ অবশেষে কমল সোনার দাম ◈ মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র! ◈ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের চিঠি ◈ ডাকসুতে ভোট কারচুপির অভিযোগে সিসিটিভি যাচাই, উঠে এলো যে তথ্য ◈ সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর ◈ আমি যে কাজ করেছি তা দেশের ইতিহাসে কোনোদিন হয়নি : আসিফ নজরুল ◈ চট্টগ্রামে মার্কিন বিমান ও সেনা উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা, আসলে কী ঘটছে

প্রকাশিত : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৭:২৭ সকাল
আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৭:২৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ইউএনও’র উপর হামলার ঘটনায় ঘোড়াঘাট থানার ওসি প্রত্যাহার, আদালতে তোলা হবে দুই আসামিকে

তাহেরুল আলম: [২] দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলার ঘটনায় ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

[৩] শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুর জেলার পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন পিপিএম।

[৪] শুক্রবারের মধ্যেই তাকে ঘোড়াঘাট থানা থেকে প্রত্যাহার করে দিনাজপুর পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হচ্ছে। রংপুর সদর থানার পরিদর্শক আজিম উদ্দিনকে ঘোড়াঘাট থানায় নতুন অফিসার ইনচার্জের (ওসি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

[৫] সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমকে উপর হামলার ঘটনার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় ব্যর্থতা এবং ওই রাতে পুলিশের টহল নিয়ে প্রশ্ন ওঠে ওসি আমিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, তিনি দায়িত্ব পালনকালে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ওপরও হামলা হয়েছিল। ইউএনও এর উপর হামলার ঘটনার ৯ দিন পর ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি)আমিরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

[৬] এদিকে ৭ দিনের রিমান্ডে থাকা ২ আসামি নবিরুল ও সান্টুকে বিশেষ চিফ জুডিশিয়ার আদালতে তোলা হবে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি ওসি ইমাম জাফর জানিয়েছেন। তথ্যের ব্যাপারে আদালতে তোলার পর মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানা যাবে। এদিকে মামলার প্রধান অভিযুক্ত আসাদুল হকের রিমান্ডের আজ ৬ষ্ঠ দিন চলছে।

[৭] প্রসঙ্গত, গত ২ সেপ্টেম্বর দিনগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনও'র সরকারি বাসভবনে ঢুকে হামলা করে দুর্বৃত্তরা। প্রথমে গেটে দারোয়ানকে বেঁধে ফেলে তারা। পরে বাসার পেছনে গিয়ে মই দিয়ে উঠে ভেনটিলেটর ভেঙে বাসায় প্রবেশ করে হামলাকারীরা। ভেতরে ঢুকে ভারী ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং আঘাত করে ইউএনও ওয়াহিদাকে গুরুতর আহত করে তারা। এ সময় মেয়েকে বাঁচাতে এলে বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে (৭০) জখম করে দুর্বৃত্তরা। পরে তারা অচেতন হয়ে পড়লে মৃত ভেবে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। ভোরে স্থানীয়রা টের পেয়ে তাদের উদ্ধার করেন।

[৮] ওয়াহিদাকে প্রথমে রংপুরে ও পরে রংপুর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে ঢাকায় আনা হয়। বর্তমান তিনি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সম্পাদনা: হ্যাপি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়