জেরিন আহমেদ: [২] এ চক্রটি এতটাই দুর্ধর্ষ যে তারা নিজেদের কিশোরী মেয়ে, স্ত্রীদের দিয়ে দেহব্যবসা পর্যন্ত করাতে দ্বিধাবোধ করে না। কখনো তারা গণহত্যা চালায়। বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ব্যবসা করে। এমনই এক অন্ধকার জগতের কাহিনী ফুটে উঠেছে লন্ডনের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে।
[৩] জাপান’স ইয়াকুজা গ্যাংয়ের রয়েছে ৩৫০০০ শক্তিশালী সদস্য। এমন কোনো অপকর্ম নেই যা তারা করে না। তবে সম্প্রতি মনে হচ্ছিল তাদের সংখ্যা কমে গেছে। কিন্তু এ সপ্তাহে টোকিওর এক বিনোদন এলাকায় এই চক্রের একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে কয়েক ডজন পর্যটকের সামনে। এ দৃশ্য দেখে পর্যটকরা ভীত শঙ্কিত হয়ে ওঠেন।
ইয়াকুজা অপরাধী চক্রের কাছে নিজের মেয়ে বা স্ত্রীর কোনো মর্যাদা নেই। স্ত্রী বা নিজের মেয়েকেও মাঝে মাঝে তারা পতিতা বানিয়ে ফেলে।
[৪] এক জরিপে দেখা গেছে, জাপানের শতকরা ৫০ ভাগ পুরুষ যৌন সুবিধা নেয়ার জন্য অর্থ খরচ করেছেন। শতকরা ৭৫ ভাগ জুনিয়র ও হাই স্কুল পড়ুয়া মেয়ে মধ্যবয়সী পুরুষের শিকারে পরিণত হয়েছে। এসব কাজের জন্য যে পতিতাপল্লী এ নেটওয়ার্কের তা শুধু জাপানেই সীমাবদ্ধ এমন নয়। এর বিস্তার ঘটেছে কোরিয়া, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইনেও। এসব দেশগুলোতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিদেশী উড়ে যান ‘সেক্স পার্টি’তে যোগ দেয়ার জন্য।
[৫] এখন পর্যন্ত ইয়াকুজা গোষ্ঠীতে একজন মাত্র নারী নেত্রীর খবর পাওয়া গেছে। তার নাম ফুমিকো টাওকা। তার স্বামী কাজুও টাওকা ছিলেন গ্যাং। তিনিও এ ব্যবসা করতেন। তিনি তারা যাওয়ার পর গ্যাংয়ের হাল ধরেন ফুমিকো। ১৯৮৪ সালে তিনি এ ব্যবসা চালানোর জন্য একজন পুরুষকে নিয়োজিত করেন। তার আগে পর্যন্ত তিনিই চালাতেন সব। নিউজ১৮, এনডিটিভি
আপনার মতামত লিখুন :