সুজন কৈরী: [২] দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার মামলা সর্বোচ্চ শক্তি, সতর্কতা ও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ। বুধবার রাজধানীর ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইউএনও ওয়াহিদার শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নিতে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
[৩] আইজিপি বলেন, ইউএনও ওয়াহিদার ওপর হামলার বিষযটি তদন্তনাধীন। আমরা ঘটনাটি সর্বোচ্চ শক্তি এবং সতর্কতার সঙ্গে তদন্ত করছি। এই ঘটনায় যে বা যারাই দায়ী হোক, তাদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনের কাছে সোপর্দ করা হবে। এ বিষযে আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা রয়েছে। বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।
[৪] এদিকে বুধবার সকালে ইউএনও ওয়াহিদাকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার সাংবাদিকদের জানান, ওয়াহিদা তার এলাকার মেয়ে। তিনি শুরু থেকেই খোঁজ-খবর রাখছিলেন। বর্তমানে ওয়াহিদার শারীরিক অবস্থা ভালো। ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও শাস্তির আওতায় আনা হবে।
[৫] গত ২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন সকালে আহত বাবা-মেয়েকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে ইউএনও ওয়াহিদাকে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হয়। বর্তমানে তিনি আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হামলার ঘটনায় ইউএনও ওয়াহিদার ভাই শেখ ফরিদ বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ঘোড়াঘাট থানায় মামলা করেন। এরপর গত ৪ সেপ্টেম্বর এ ঘটনায় ছয়জনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তারা হলেন- ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক (বহিষ্কৃত) জাহাঙ্গীর আলম (৪২), উপজেলা যুবলীগের সদস্য (বহিষ্কৃত) আসাদুল হক (৩৫), শিংড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি দক্ষিণ দেবীপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফা আদুর ছেলে মাসুদ রানা (৪০), নৈশপ্রহরী নাহিদ হোসেন পলাশ (৩৮), চকবামুনিয়া বিশ্বনাথপুর এলাকার মৃত ফারাজ উদ্দিনের ছেলে রংমিস্ত্রি নবিরুল ইসলাম (৩৫) ও একই এলাকার খোকার ছেলে সান্টু চন্দ্র দাস(২৮)। পরে আসাদুল হক, নবিরুল ইসলাম ও সান্টু চন্দ্র দাস র্যাবের কাছে ইউএনওর ওপর হামলার দায় স্বাকীর করেন।