দেবদুলাল মুন্না: [২] মঙ্গলবার ছিল সাক্ষরতা দিবস। এ দিবস উপলক্ষ্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি ২০০৮ সালে তখনকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
[৩] তিনি বলেন, সাক্ষরতার হার বাড়ানো নিয়ে সরকার একের পর এক প্রকল্প নিয়েছে। কোটি কোটি টাকা খরচ করেছে। কিন্তু সেসব প্রকল্প যে খুব বেশি সফল হয়েছে বলে মনে হয় না। ২০১৯ সালের শেষার্ধে এসে নীতিনির্ধারকেরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েদের পাঠকক্ষে ধরে রাখতে দুপুরের খাবার ও পোশাক দেওয়ার কথা ভাবছে। কয়েকটি এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে এই প্রকল্প চালুও আছে। উদ্যোগটি ভালো। কিন্তু ফলাফল আশানুরুপ নয়। এখন আবার করোনা পরিস্থিতি।
[৪] তিনি জানান, দেশে পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭৩ দশমিক ৯ শতাংশ। এর অর্থ দাঁড়ায়, দেশের এক-চতুর্থাংশের বেশি মানুষ এখনো নিরক্ষর। তবে বেসরকারি সংস্থাগুলোর গবেষণা মতে, প্রকৃত সাক্ষরতার হার ৫৭ শতাংশ। বছরে সাক্ষরতার হার বাড়ছে ১ শতাংশ কিংবা তারও কম।
[৫] তার মতে, এই ধারা চলতে থাকলে দেশ নিরক্ষরতামুক্ত হতে আরও ৩০ বছর লেগে যাবে। অথচ জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজিতে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ সাক্ষরতার হার শতভাগে উন্নীত করার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেক্ষেত্রে আমরা কতোটুকু প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারব এ বিষয়ে আমি সন্দিহান।