মিলটন খন্দকার :[২] রোববার সকালে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বিলাইঘাটা এলাকায় লবলঙ্গ খালের তীর থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
[৩] নিহত রাসেল (৩০) শ্রীপুরের সিংদিঘি গ্রামের সুজন আলীর ছেলে। সে স্থানীয় শিশু কানন নামের একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন।
[৪] শনিবার বিকেলে স্থানীয় বারতোপা বাজারে চায়ের স্টল থেকে ধরে নিয়ে যায় ইমরানের নেতৃত্বে কয়েক মাদকব্যবসায়ী। পরে তাকে নির্জন স্থানে নিয়ে বেধরক মারপিট করেন। একপর্যায়ে মারা গেলে রাতের আধারে পাশের খালের তীরে তার মরদেহ ফেলে দেয়া হয়।
[৫] স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাবা মায়ের দুই ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে রাসেল রানা বড়। গত বছর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন রাসেল। এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কাজে রাসেলের অংশগ্রহন ছিল প্রশংসনীয়। মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল সে। এটাই তার কাল হয়ে উঠলো।
[৬] অভিযুক্ত ইমরান(২০) বারতোপা গ্রামের বাক্কার মন্ডলের ছেলে।
[৭] নিহত রাসেলের বাবা সুজন আলীর ভাষ্য, শনিবার দুপুরে বাড়ী থেকে বের হয়েছিল বাজারে যাওয়ার জন্য। তার বন্ধু তাকে মোটরসাইকেলে করে বাজার পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছিল। পরে সন্ধ্যায় খবর পান তার ছেলেকে ইমরান নামের এক যুবক স্থানীয় বারতোপা বাজার থেকে ধরে নিয়ে মারধর করছে। সারারাত ছেলের সন্ধানে বাড়ি বাড়ি ঘুরেছেন। কিন্তু ছেলেকে পাওয়া যায়নি।
[৮] মাওনা ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান, প্রায় দুসপ্তাহ আগে স্থানীয় সলিং মোড় থেকে ইমরানকে ফাঁড়িতে ডেকে নেয়া হয়। তার বিরুদ্ধে নির্দ্দিষ্ট কোনো অভিযোগ না থাকায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল।
[৯] এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ওসি খন্দকার ইমাম হোসেন জানান, নিহতের শরীরে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। ব্যাপক মারধর করে শ্বাসরোধ করে এ যুবককে হত্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে, মামলা প্রক্রিয়াধীন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ, মুরাদ হাসান
আপনার মতামত লিখুন :