দেবদুলাল মুন্না: [২] শনিবার বাদ আসর সেনানিবাসে সেনাকুঞ্জের পাশে সেন্ট্রাল মসজিদে মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব:) আবু ওসমান চৌধুরীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর পৌনে ছয়টায় বনানী সামরিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। বিউগলের করুণ সুরে রাষ্ট্রীয় সালাম জ্ঞাপনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। প্রথমে পালন করা হয় এক মিনিট নীরবতা। এরপর তার সম্মানে সামরিক কায়দায় ১৫টি ফাঁকা গুলি (হলি ফায়ার) ছোড়া হয়।
[৩] ঢাকার সিএমএইচে কোভিড আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে তার মৃত্যু ঘটে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের মহাসচিব হারুন হাবীব। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
[৪] শাহরিয়ার কবির বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল(অব) ওসমানীর ষড়যন্ত্রে তাকে ‘বীরউত্তম’ খেতাব দেয়া হয়নি। যুদ্ধত্তোরকালে একপর্যায়ে ওসমানভাইকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়। তখন প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্বে ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর কারণে সেবার রক্ষা পান তিনি। কারণ বঙ্গবন্ধু তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করে যথোচিত অনুসন্ধানের পর লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে পদোন্নতি দিয়ে কোরের (এএসসি) পরিচালক পদে নিযুক্ত করেন।
[৫] তিনি বলেন, কিন্তু ওই পদে ওসমানভাই তিন বছর থাকার পর ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহি বিদ্রোহে গুলশানের বাড়িতে ওসমানভাইকে না পেয়ে সিপাহিরা তার স্ত্রী বেগম নাজিয়া ওসমানকে হত্যা করে। এরপরই জিয়াউর রহমান তাকে সেনাবাহিনী থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেন।