ওমর ফারুক: [২] বিনা অপরাধে স্বদেশে গ্রেপ্তারের এমন ঘটনা দুঃখজনক এবং মানবাধিকারের লংঘন উল্লেখ করে এসব অভিবাসীদের মুক্তি দাবি করেছে বাংলাদেশের অভিবাসন খাতের ১৯টি সংগঠনের নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ সিভিল সোসাইটি ফর মাইগ্রেন্টস (বিসিএসএম)।
[৩] বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, বিদেশে যাওয়ার জন্য যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ করে সরকারি প্রতিষ্ঠান জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ছাড়পত্র নিয়ে এই ৮১ জন ভিয়েতনামে গিয়েছিলেন। কিন্ত তারা সেখানে গিয়ে কাঙ্খিত চাকরি ও ঠিকমতো বেতন পাননি। ধারাবাহিকভাবে নিপীড়নের শিকার হওয়ার পর প্রতিকারের আশায় তারা বাংলাদেশ দূতাবাসে যান এবং নিয়ম অনুযায়ী অভিযোগ দেন। মাসখানেকেরও বেশি সময় মানবেতর জীবন যাপনের পর দেশে ফিরে তাদের ঠাঁই হয় কোয়ারেন্টিন সেন্টারে। সেখান থেকে যখন তারা বাড়ি ফেরার স্বপ্ন দেখছিলেন তখন তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
[৪] ভালো চাকরির মিথ্যা প্রলোভন ও উচ্চ বেতনের হাতছানি দেখিয়ে কয়েকটি রিক্রুটিং এজেন্সি ও ট্রাভেল এজেন্সি একজোট হয়ে জনপ্রতি ৪ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা নেয়। এরপর বিএমইটির ছাড়পত্র নিয়ে ২০১৯ সালের শেষ দিকে এবং ২০২০ সালের প্রথম কয়েক মাসের বিভিন্ন সময়ে তাদের ভিয়েতনাম পাঠায়। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ