নেত্রকণা প্রতিনিধি : [২] লোভের বশবর্তী হয়েই নেত্রকোনার দুর্গাপুরে প্রাণ হারিয়েছেন অটো মেকানিক সবুজ মিয়া। বড় ভাই কাঞ্চন নিয়ার কথা রাখতে গিয়ে রোববার দুর্গাপুরের শিবগঞ্জে একটি ভাঙারির দোকানে মর্টার শেল বিস্ফোরণে প্রাণ হারান সবুজ মিয়া।
[৩] এ ঘটনায় আহত হন দোকানের মালিক কাঞ্চন মিয়ার ছেলে নাহিদ মিয়াও। নাহিদকে প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে ঢাকার বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
[৪] সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ময়মনসিংহ পুলিশের রেঞ্জ ডিআইজি ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ। এর আগে ঘটনাস্থলে যান নেত্রকোনার ডিসি কাজী মো. আব্দুল রহমানসহ স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা।
[৫] স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কাঞ্চন মিয়া দীর্ঘদিন ধরেই পুরাতন জিনিসপত্র কেনাবেচার ব্যবসা করছিলেন। তার ভাই সবুজ মিয়া ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা মেরামতের কাজ করতেন। কয়েকদিন আগে পাশের একটি গ্রামের ভাঙারির দোকান থেকে প্রায় দুই টন পুরাতন জিনিসপত্র কিনে আনেন কাঞ্চন।
[৬] ওই সময় জিনিসপত্রের সঙ্গেই ২৫ টাকা কেজি দরে ১০-১২ কেজি ওজনের মর্টার শেলটি নেন তিনি। মর্টার শেলটি মূলত সীমানা পিলার ভেবে অল্প দিনেই কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখেন কাঞ্চন মিয়া। বস্তুটির ভেতরে কী আছে এটি দেখতেই রোববার রাতে ছোট ভাই সবুজ মিয়াকে দোকানে ডেকে আনেন তিনি।
[৭] তিনি জানান, বিস্ফোরিত বস্তুটি একটি পুরনো মর্টার শেল। এটি আনুমানিক ১০ থেকে ১২ কেজির। ২৬ ইঞ্চি লম্বা এবং ১২০ মিলিমিটারের মতো হবে। অবিস্ফোরিত অবস্থায় দীর্ঘদিন এটি মাটির নিচেই ছিল। তবে পরিপূর্ণভাবে এটি কত বছর আগের তা পরীক্ষার পরই জানা যাবে ।
[৮] এ ব্যাপারে নেত্রকোনার এসপি মো. আকবর আলী মুন্সি জানান, দোকান মালিক কাঞ্চন মিয়া মর্টার শেলটি কেজি হিসেবে কিনেছেন বলে জানিয়েছেন। কাঞ্চন মিয়ার কাছে যিনি বিক্রি করেছিলেন তাকেও খোঁজা হচ্ছে। তাকে পেলে এর রহস্য জানা যাবে। তবে এটি অনেক পুরনো মর্টার শেল। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ