সুজিৎ নন্দী: [২] কোভিড-১৯ আগের ভাড়ায় ফেরার কথা থাকলেও ঢাকাসহ দেশের গণপরিবহন ভাড়া বেড়েছে। তবে ভাড়া নৈরাজ্য থামেনি। বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে পরিবহন চালক ও হেলপারদের বাকবিতণ্ডা হতেও দেখা গেছে। কোথাও কোথাও হেলপারদের সঙ্গে যাত্রীদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। আর এসব কারণেই বিভিন্ন স্থানে যাত্রীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হতে দেখা গেছে। পাশাপাশি গণপরিবহনও কম দেখা গেছে। মিরপুর-১, গাবতলী, কল্যাণপুর, ফার্মগেট, প্রেসক্লাব, শাগবাগ, গুলিস্তানে এ রকম চিত্র দেখা গেছে।
[৩] পরিবহন মালিক সমিতির মহাচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, আমরা সব মালিককে চিঠি দিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছি। কোনও বাসে দাঁড়িয়ে বা বর্ধিত ভাড়া আদায় করা যাবে না। যদি কেউ এমন করে থাকে বা কোনও যাত্রীর কাছ থেকে অভিযোগ আসে সঙ্গে সঙ্গে সেই পরিবহনের বিরুদ্ধ আইনগত ব্যবস্থার পাশাপাশি সাংগঠনিক ব্যবস্থাও নেয়া হবে।
[৪] বিআটিএ’র উদ্ধতন কর্মকর্তা জানান, ভাড়া মনিটরিংসহ পরিবহনের অন্যান্য অনিয়ম দেখতে নগরজুড়ে আমাদের বেশ কয়েকটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। তারা এসব বিষয় দেখভাল করছেন। কেউ আইন ভঙ্গ বা সরকারের নির্দেশনা অমান্য করলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
[৫] সরেজমিনে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে পরিবহনগুলোতে যাত্রীদের সংখ্যা বাড়লেও পরিবহনের সংখ্যা কমেছে। সকালের দিকে কিছুটা বেশি থাকলেও দুপুরের দিকে অনেক কম দেখা গেছে। এর কারণ হিসেবে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগে একটি পরিবহনে আসনের অর্ধেক যাত্রী পরিবহন হতো। এখন সেখানে তার শতভাগ আসন ভর্তি করে যাত্রী পরিবহন হচ্ছে। যাত্রী সংখ্যা বাড়েনি। সে কারণে বাসের সংখ্যা কম।
[৬] পরিবহনে আগের ভাড়ায় ফেরার ঘোষণা থাকলেও এখনও ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। এরপরও ভাড়া কিছুটা কমায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন তারা। প্রতিটি আসনেই যাত্রী বসিয়ে বাস চালানো হচ্ছে। কোথাও পুরোপুরিভাবে স্বাস্থ্যবিধি পালন করতে দেখা যায়নি। যাত্রীদের অধিকাংশের মুখে মাস্কও দেখা যায়নি। নেই হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহারও।
[৭] একাধিক যাত্রী জানান, আগের ভাড়ার কথা কন্ডাক্টরদের মনে করিয়ে দিলে ভাড়া কিছুটা কম নিচ্ছে। তবে আগের ভাড়া নিচ্ছে না। করোনাকালের জন্য যে ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়, সেই ভাড়াই রেখে দিচ্ছে। মিরপুর ১০ নম্বর থেকে সেখানে এসেছেন। করোনাকালের আগের নির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ী এই পথের ভাড়া হচ্ছে ২০ টাকা, করোনাকালীন সময়ে এখান থেকে ৩৫ টাকার মতো আদায় করা হতো। কিন্তু আজ তার থেকে ৩০ টাকা আদায় করা হয়েছে।
[৮] একাধিক চালক জানান, আমরা আগের ভাড়াই আদায় করছি। কিন্তু কিছু কিছু যাত্রী সেই ভাড়াও দিতে চায় না। যে কারণে কারও কারও সঙ্গে ঝামেলা হয়। এছাড়া সিটের বাইরে কোনও যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে না। মোড়ে মোড়ে বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালত আছে। তারা জরিমানা করে দিচ্ছে। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ