বাবুল আক্তার : [২] একসময় গ্রামগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বাহন ছিল গরুর গাড়ি। গরুর গাড়ি ও গাড়িয়াল পেশা এখন রূপকথার গল্পমাত্র। এখন গরুরগাড়ি বিলুপ্ত হয়ে স্থান পেয়েছে সংবাদপত্র ও বইয়ের পাতায়।
[৩] দুই চাকাবিশিষ্ট গরু বা বলদে টানা এক প্রকার বিশেষ যান গরুর গাড়ি । এ যানে সাধারণত একটি মাত্র অক্ষের সঙ্গে চাকা দুটি যুক্ত থাকে। গাড়ির সামনের দিকে একটি জোয়ালের সঙ্গে দুটি গরু বা বলদ জুটি মিলে গাড়ি টেনে নিয়ে চলে।
[৪] দেশের গ্রামীণ জনপদের মধ্যে বিভিন্ন উপজেলায় ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ি বাহনের সরগরম অস্তিত্ব ছিলো। আধুনিকতার যান্ত্রিক ছোঁয়ায় ও ডিজিটাল পদ্ধতির কাছে হার মেনে গ্রাম বাংলার চিরচেনা ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ি বিলুপ্তপ্রায়। গ্রামগঞ্জের আঁকা বাঁকা মেঠো পথে এখন আর তেমন চোখে পড়েনা গরুর গাড়ি।
[৫] বর্তমানে গ্রামাঞ্চলে ২/১টি গরুর গাড়ি চোখে পড়লেও অধিকাংশ এালাকয় একেবারেই চোখে পড়ে না। যুগ যুগ ধরে কৃষকের কৃষি ফসল বপন ও বহনের গুরুত্বপূর্ণ বাহন আধুনিক সভ্যতায় ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ি হারিয়ে যেতে বসেছে।
[৬] চৌগাছা সরকারি কলেজের জীব ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম বলেন, গরুর গাড়ির একটি সুবিধা হলো, এতে কোনো জ্বালানি লাগে না। ফলে ধোঁয়া হয় না। পরিবেশের কোনো বিরুপ প্রভাব ফেলেনা। এটি পরিবেশবান্ধব একটি যানবাহন। এতে কোনো দুর্ঘটনাও নেই বল্লেই চলে। কিন্তু যুগের পরিবর্তনে এই গরুর গাড়ি প্রচলন আজ হারিয়ে যাচ্ছে। সম্পাদনা : হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :