শিরোনাম
◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক

প্রকাশিত : ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৫:৩৭ সকাল
আপডেট : ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৫:৩৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মূল ডিপিপিতে না থাকলেও সংশোধনীতে ১ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণে ৩ কোটি টাকা চাইছে পানি উন্নয়ন বোর্ড

সাইদ রিপন : প্রকল্পের মূল অনুমোদিত ডিপিপিতে ওয়াকওয়ে নির্মাণের কোন সংস্থান ছিল না। প্রথম সংশোধনী প্রস্তাবে ১ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ বাবদ ৩ কোটি টাকার সংস্থান রাখা হয়েছে আরডিপিপিতে। কিন্তু এ কাজের কোন সম্বলিত বিবরণ সংশোধনী ডিপিপিতে যুক্ত করা হয়নি। এ প্রকল্পের ক্রমপুঞ্জিত বাস্তবায়ন হার বিবেচনা করে নতুন অঙ্গ অন্তর্ভুক্তির পরিবর্তে বিদ্যমান কার্যক্রমগুলো প্রকল্প মেয়াদে সমাপ্তের জন্য সংশোধিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। এছাড়া বেশি গুরুত্বপূর্ণ না হলে ওয়াকওয়ে নির্মাণ বাদ দিতে বলেছে পরিকল্পনা কমিশন।

সম্প্রতি ‘শরীয়তপুর জেলার জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলায় পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা’ প্রকল্পটি প্রথম সংশোধনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রকল্পটি অক্টোবর ২০১৭ সাল থেকে জুন ২০২১ সাল মেয়াদে বাস্তবায়ন করছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। সংশোধনীতে প্রকল্পটির বাস্তবায়নের মেয়াদ ঠিক থাকলেও শুধু ১৪৬ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বাড়তি চাইছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। পরিকল্পনা কমিশনের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভার কার্যপত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

কার্যপত্র থেকে জানা যায়, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত প্রকল্পটির ক্রমপুঞ্জিত ব্যয় হয়েছে ৪০৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা। যা মূল অনুমোদিত প্রাক্কলিত ব্যয়ের ৩৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ। সংশোধনীর করণে বলা হয়েছে, প্রকল্পটি অনুমোদনের পর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ভাঙ্গণের তীব্রতার পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্প এলাকায় পুনরায় সার্ভে করে নকশা সংশোধন করা হয়। সংশোধিত নকশা অনুযায়ি জিও ব্যাগের ড্যাম্পিং ভলিউম ৭৬ ঘনমিটার/মিটার এর পরিবর্তে ৭৬ থেকে ১৩২ ঘনমিটার/মিটার নির্ধারণ সংশোধিত নকশা অনুযায়ি ব্লকের ডাম্পিং ২৬ ঘনমিটার/মিটার এর পরিবর্তে ৪০ থেকে ৫০ ঘনমিটার/মিটার নির্ধারণ করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ের বাস্তব অবস্থার প্রেক্ষিতে নদী তীর সংরক্ষণ কাজ ৪৫০ মিটার ও নদী ড্রেজিং এর দৈর্ঘ্য ২ কিলোমিটার বৃদ্ধি করা হয়েছে। নতুন অঙ্গ যেমন, কালভার্ট নির্মাণ, ভূমি পুনরুদ্ধার ও ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে।

পরিকল্পনা কমিশনের মতামতে প্রকল্পটির বিষয়ে বলা হয়েছে, প্রকল্পের মূল অনুমোদিত ডিপিপিতে ৮.৯০ কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণ বাবদ ৫৪৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা সংস্থান আছে। জুন ২০১৯ পর্যন্ত এ খাতে ১৪০ কোটি ১৯ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। প্রকল্পের প্রথম সংশোধনী প্রস্তাবে ৯.৩৫ কিলোমিটার নদী তীর সংরক্ষণ বাবদ ৯৫৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা রাখা হয়েছে, যা অনেক বেশি প্রতীয়মান হয়। নদীর তীর সংরক্ষণ খাতে বাপাউবো’র সমজাতীয় চলমান প্রকল্পের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ব্যয় নির্ধারন করতে হবে। প্রকল্পের মূল অনুমোদিত ডিপিপি ৮৯ মিটার এন্ড টার্মিনেশন বাবদ ৭.৫৪ কোটি টাকা সংস্থান আছে। প্রকল্পে প্রথম সংশোধনী প্রস্তাবে ১০৪ মিটার এন্ডটার্মিনেশন খাতে পরিমাণ ও ব্যয় বৃদ্ধির যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করতে হবে।

এছাড়া প্রকল্পের ক্রমপুঞ্জিত অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা যায় বাস্তবায়ন মেয়াদ প্রায় ৩ বছর অতিবাহিত হলেও মূল ডিপিপিতে সংস্থানকৃত জীপ ক্রয় ও বৈদেশিক অভিজ্ঞতা বিনিময় কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়নি। লগফ্রেম বিশ্লেষণে প্রকল্পের অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে উপর্যুক্ত ইনপুটসমূহের প্রয়োজনীয়তা পুন:বিবেচনা করতে হবে। করোনা পরবর্তী চ্যালেঞ্জ বিবেচনায় সরকারী অর্থের সাশ্রয়ী ও অগ্রাধিকার ব্যয় নিশ্চিত করতে প্রকল্পের আওতায় অভিজ্ঞতা বিনিময় ও জীপ ক্রয়ের সংস্থান বাদ দিতে হবে। প্রকল্পে মূল অনুমোদিত ডিপিপিতে ২টি মোটরসাইকেল বাবাদ ৩.৫০ লাখ টাকা সংস্থান আছে। প্রকল্পের প্রথম সংশোধনী প্রস্তাবে ৪টি মোটরসাইকেল বাবদ ৭.৫০ লাখ টাকা সংস্থান রাখা হয়েছে। এ বিষয়টির প্রয়োজনীয়তা ও ব্যয় যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করতে হবে।

এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, যে কোন প্রকল্পের অতিরিক্ত ব্যয় থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রকল্প সংশোধনী নামে কেউ যেন অযৌক্তিক টাকা দাবি না করে অথবা কেউ করলেও পরিকল্পনা কমিশন তা পর্যালোচনা করে নির্ধারণ করবে। পরিকল্পনা কমিশনের সকল বিভাগের সদস্যদের নির্দেশনা দেওয়া আছে, তারা যেন প্রত্যেকটা ডিপিপি যাচাই-বাছাই করে প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়