শিরোনাম
◈ পূর্বাচল প্লট জালিয়াতি মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫ বছরের কারাদণ্ড ◈ পূর্বাচল প্লট দুর্নীতির তিন মামলায় শেখ হাসিনার ২১ বছরের কারাদণ্ড ◈ বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ, তবে তৃতীয় দেশে পাঠাতে চায় ভারত; যুক্তরাষ্ট্রে যেতে আগ্রহী শেখ হাসিনা ◈ জাতীয় নির্বাচনের আগে যে তিন চ্যালেঞ্জের মু‌খোমু‌খি বিএনপি ◈ বেহাল দশা লিভারপু‌লের, নি‌জের মাঠেই হে‌রে গে‌লো ডাচ ক্লাবের কাছে ◈ ব্রিটেনে ন্যূনতম মজুরি বাড়ল: আগামী এপ্রিল থেকে ঘণ্টায় বাড়বে সব বয়সের শ্রমিকদের আয় ◈ বায়ার্ন মিউনিখকে ৩-১ গো‌লে হারা‌লো আ‌র্সেনাল ◈ তারেক রহমান এখনও ভোটার নন, ডিসেম্বরে দেশে এসেই ভোটার হবেন: দলীয় সূত্র ◈ ফিফা নিষেধাজ্ঞা স্থগিত কর‌লো, বিশ্বকাপের শুরু থেকেই খেলতে পারবেন রোনালদো ◈ কেন বিবিসির বিরুদ্ধে ট্রাম্পের মানহানি মামলা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে

প্রকাশিত : ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১০:২৭ দুপুর
আপডেট : ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১০:২৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রিফাত হাসান: ইভ্যালি অনলাইনের নামে বেশির ভাগ আলাপই কাল্পনিক

রিফাত হাসান: [১] ভোক্তা [২] ব্যবসায়ী। তারপরে থাকে বিশেষজ্ঞ। টিভি সেলিব্রেটিরা কোন জাগা থেকে কথা বলছেন? ইভ্যালি নামের অনলাইন শপের ব্যাপারে নানান কথা হচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় অংশের আলাপ কাল্পনিক। আব্দুন নূর তুষার নামের একজনের পোস্ট চোখে পড়লো, একটা কাল্পনিক অনুমান দিয়ে শুরু করেছেন, ‘ইভ্যালিতে ভেন্ডরদের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় হলেও ভেন্ডর কে সেটা আপনি জানতে পারবেন না কখনো। এ ধরনের ভুল বা মিথ্যা অনুমান দিয়ে যে লেখার শুরু, তার বাকি অনুমানগুলো নিয়েও কথা বলার আর কী আছে। আমাদের চারপাশের বেশ পরিচিত ভেন্ডররাই স্বনামে এখানে বিক্রি করেন, এইটুকু জানার জন্য ওদের সাইট থেকে কিছু না কিনেও (আমিও কখনও কিনি নাই), কোনো একদিন ঘুরে আসলেও হয়। তুষারের একই লেখায় দারাজের বিরুদ্ধেও বিস্তর অভিযোগ। অথচ আমার অভিজ্ঞতায় এই মুহূর্তে দারাজ সবচেয়ে স্মার্ট অনলাইন শপ। রিটার্ন, রিফান্ড পলিসি বেশ স্মার্ট। এমনকি রিটার্নের পণ্যও এরা নিজেরা এসে সংগ্রহ করে নেয়।

আমাজনের মতো বড় শপেও স্ক্যামের ছড়াছড়ি। দারাজেও থাকা সম্ভব। সেক্ষত্রে সতর্ক থাইকা কেনাকাটা করতে হবে। শপগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ, যেমন, এতো অবাস্তব অফার দেয় কেন ইত্যাদি। বাংলাদেশ এখন ক্রিয়েটিভ ইকমার্সের যুগে প্রবেশ করেনি। একটু একটু হাওয়া লাগছে, যেমন ব্ল্যাক ফ্রাইডে ইত্যাদি শোনা যায় মাঝে মধ্যে। ডিসকাউন্ট এর টাকাটা কীভাবে আসে, তার অনেক ক্রিয়েটিভ উপায় আছে। কেউ যদি সেই উপায়টি এপ্লাই করতে সক্ষম হয়, আমি তাতে অখুশি হবার কারণ দেখি না। যে অভিযোগগুলো দেখা যাচ্ছে, তাতে ইভ্যালির ব্যবসাতে আমার যে বিষয়টি সমস্যার মনে হয়, সেটি হলো পণ্য ডেলিভারিতে দীর্ঘ সময় নেওয়া। এইটা আনস্মার্ট ও ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাপার। এই আনস্মার্ট ব্যাপার ও ডিলে-রে সন্দেহ করা দরকার।

দুনিয়ার বড় বড় ইকমার্স শপগুলো থেকে অল্পসল্প শপিংয়ের অভিজ্ঞতা আমার আছে, যার কারণে বুঝতে পারি, কোনো নতুন পণ্য লঞ্চ বা ব্যাক অর্ডারের পণ্য ছাড়া অন্য কোনো পণ্যে ডিলে অকল্পনীয়। আর এ ধরনের ডিলে-র ক্ষেত্রে ক্রেতা চাইলেই যেকোনো সময়ে অর্ডার ক্যানসেল করে ক্যাশ রিফান্ড পেতে পারে। ইভ্যালির রিফান্ড পলিসিতে এরকম কিছু সম্ভবত নেই। যদি না থাকে, সেই পলিসিগুলোরে নিয়ে কথা কওয়া দরকার। প্রয়োজনে আইন করা দরকার। ক্যাশব্যাক বা ডিসকাউন্টের টাকা ইভ্যালিতেই খরচ করতে হবে, এই নিয়ম দুনিয়ার বড় বড় শপগুলোতেও আছে। এইটা তো ওদের ব্যাবসার সিক্রেট, না হলে ওরা ক্যাশব্যাক দেবে কেন? কিন্তু অসন্তুষ্ট কাস্টোমার যেকোনো মুহূর্তে পণ্য পাওয়ার আগে বা পণ্য পাওয়ার৭ বা অন্য কোনো নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে পণ্য রিটার্ন করতে সমর্থ হবে, এই বেসিক ভোক্তা অধিকার লংঘন করে কোনো অনলাইন শপ যাতে ব্যবসা করতে না পারে, তার জন্য আইন হতে হবে। যারা ইভ্যালি নিয়ে কথা কইতেছেন, তারা এসব জাগায় কথা কইতেছেন কিনা? নাকি স্রেফ অসূয়ার আলাপ আর সেলিব্রেটির আলাপ। এই আলাপে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ কইরা দেওয়ার বাইরে আর কোনো উদ্দেশ্য থাকা সম্ভব বইলা মনে হয় না। তাই টিভি সেলিব্রেটিদের থিকা সাবধান থাইকেন। ফেসবুক থেকে

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়