মুশফিক ওয়াদুদ: আবিষ্কারের ক্ষেত্রে ‘১০/১০ রুল’ নামে একটি থিউরি/হাইপোথিসিস আছেন। আইডিয়াটা এমন যে নতুন কিছু তৈরি করতে এক দশক সময় লাগে এবং সেটা বিক্রি করতে/মানুষের কাছে পৌছাতে আরও এক দশক সময় লাগে এবং এই দুই দশক পরই বোঝা যায় সেই আইডিয়া স্থায়ী হবে না আর টিকবে না। আমার কাছে মনে হয় স্যোশ্যাল সাইন্সের কোনো কনসেপ্টের ক্ষেত্রেও এই হাইপোথিসিসটি প্রযোজ্য। সেই হিসেবে ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ দুই দশক পার করে ফেলেছে। পশ্চিমের কাছেও ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ এখন মূল ফোকাস না। বরং চীন, রাশিয়া আর ইরানের উত্থান এখন বড় সিকিউরিটি থ্রেট।
এমন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মুসলিম দেশগুলোর অটোক্রেটিক অথবা হাইব্রিড সরকারগুলোর পক্ষে জঙ্গি আখ্যা দিয়ে বিরোধী মতকে দমন করা অথবা কিছু ইসলামী বই দেখিয়ে গ্রেফতার এবং রিমান্ডে নির্যাতনের ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা আগের মতো আর সহজ হবে না। এই সব সরকারগুলো এই বিষয়টি এখনই আঁচ করতে না পারলে সংকটে পরবে।
Abu Rushd ওয়ার অন টেরর- এর সুবাদেই কম্যুরা চুপচাপ সব গুছিয়ে নিয়েছে। এই কম্যুরাই সব দেশে মৌলবাদ, জঙ্গিবাদের জজবা তৈরি করে পাশ্চাত্যকে মুসলমানদের সাথে লাগিয়ে দিয়েছে। এখন পশ্চিমারা দেখছে হায় হায়, সব তো দেখি কম্যুরা নিয়ে গেলো। ২০০২-২০০৮ পর্যন্ত দৈনিকে যখন রিপোর্টার ছিলাম তখন ঢাকায় প্রতিদিন ৪/৫টা সেমিনার হতো সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ নিয়ে। রিপোর্টার কম পড়ে যেতো। বিশেষ সংবাদদাতা হয়েও তখন প্রক্সি দিতে দিতে মেজাজ খারাপ হয়ে যেতো। সব ছিলো কম্যুদের আয়োজিত বিভিন্ন আবরণে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :