নিজস্ব প্রতিবেদক: [২] মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নেওয়া এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট। বলা হয়েছে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে মহিষের দুধের উৎপাদন বাড়ানো ছাড়াও দেশে উৎপাদিত শংকর জাতের মহিষের উৎপাদনশীলতা যাচাই ও বাচ্চা উৎপাদন বাড়বে। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
[৩] জানা যায়, প্রকল্পটির কার্যক্রম চলতি বছরের জুলাইতে শুরু হয়েছে। ২০২৪ সালের ৩০ জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন কাজ শেষ হবে। গত ২৫ আগস্ট সরকারের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
[৪] প্রকল্পটি সদ্য সমাপ্ত ২০১৯-২০ অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প হিসেবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রকল্পের আওতায় বিএলআরআইয়ের গবেষণাগারের সক্ষমতা বাড়াবে, মহিষের জন্য শেড নির্মাণ করা হবে। খামারি পর্যায়ে অধিক দুধ উৎপাদনক্ষম দেশি নদীর মহিষের কমিউনিটি নিউক্লিয়াস গঠন করা হবে। কমিউনিটি নিউক্লিয়াস থেকে ১৫টি ষাঁড় বাছুরকে ক্যান্ডিডেট বুল হিসেবে নির্বাচনপূর্বক সিমেন সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ করে বাছাইকৃত গাভীতে কৃত্রিম প্রজনন করা করা হবে। প্রাণিসম্পদ অধিদফতর কর্তৃক কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে প্রকল্প এলাকায় উৎপাদিত শংকর জাতের মুররাহ দেশি মহিষের উৎপাদন দক্ষতা মূল্যায়ন করা হবে। মহিষের জাত উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে মহিষের নিউক্লিয়াস হার্ভে প্রাণী জীবপ্রযুক্তি, যেমন- কৃত্রিম প্রজনন, ভ্রূণ উৎপাদন, মার্কার অ্যাসিস্টেড সিলেকশন, ইস্ট্রাস-সিনক্রোনাইজেশন ইত্যাদি অভিযোজন করা হবে। মহিষের উপযুক্ত চারণভূমি ব্যবস্থাপনা, হাউজিং পদ্ধতি এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কৌশল উন্নয়ন করা হবে।
[৫] জানা গেছে, ঢাকা বিভাগের আওতায় ঢাকা জেলার সাভার, রাজশাহী বিভাগের আওতায় রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী, পাবনা জেলার ঈশ্বরদী, ময়মনসিংহ বিভাগের আওতায় জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ, চট্টগ্রাম বিভাগের আওতায় চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা, কুমিল্লা সদর, লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি, নোয়াখালী জেলার কোম্পানিগঞ্জ, বরিশাল বিভাগের আওতায় ভোলা জেলার চরফ্যাশন, পটুয়াখালী জেলার বাউফল, সিলেট বিভাগের আওতায় সিলেট জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ, রংপুর বিভাগের আওতায় রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া এবং লালমনিরহাট জেলার কালিগঞ্জ উপজেলায় এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।
[৬] প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের গত ৫ বছরের প্রতিবেদনের তথ্যমতে, ২০১০-১১ অর্থবছরে ১ হাজার ৩৫০ কোটি লিটার দুধের চাহিদা থাকলেও এ বছরে উৎপাদন হয়েছে মাত্র ২৯৪ কোটি ৭০ লাখ লিটার। পরের বছরে ২০১১-১২ অর্থবছর সমপরিমাণ চাহিদা থাকলেও ৫ কোটি লিটার বেশি উৎপাদিত হয়। ২০১২-১৩ অর্থবছরে চাহিদার পরিমাণ বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৩৯১ কোটি ৫৬ লাখ লিটারে।