শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ৩০ আগস্ট, ২০২০, ১০:৩৪ দুপুর
আপডেট : ৩০ আগস্ট, ২০২০, ১০:৩৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] দোকানে দোকানে অনলাইন টিকিট, সান্তাহারে ট্রেনের যাত্রী ভোগান্তী চরমে

এএফএম মমতাজুর : [২] সান্তাহার জংশন স্টেশনে ট্রেনের অনলাইন টিকিট যেন সোনার হরিণ। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ করোনা সংক্রমন এবং কালোবাজারি প্রতিরোধে কাউন্টারের পরিবর্তে অনলাইন ব্যববস্থা করেছেন। কিন্তু কোন যাত্রীই অনলাইনে টিকিট কাটার প্রক্রিয়া জানেন না। ফলে টিকিট কালোবাজারিদের এখন পোয়াবারো অবস্থা। স্টেশন রোডের দোকানে দোকানে মিলছে ট্রেনের অনলাইন টিকিট। এসব দোকানেও কাউন্টারের মতই ভিড়।

[৩] জানা গেছে, অনলাইন টিকিট কোন দোকানে বিক্রির বিধান না থাকলেও সান্তাহার জংশন স্টেশনের রেলওয়ে লেভেলক্রসিং থেকে টিকিট ঘর পর্যন্ত হাফডজন দোকানে ব্যানার টাঙিয়ে বিক্রি হচ্ছে টিকিট। রেলওয়ের টিকিট কাউন্টারে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি করার জন্য একটি বেসরকারি সংস্থা নিয়োগ করা আছে। বর্তমানে তাদের পরিবর্তে অনলাইন টিকিট বিক্রি হলেও টিকিটে সেই সংস্থার লোগো ব্যবহার হচ্ছে। অর্থ্যাৎ টিকিটের নিয়ন্ত্রন তাদের হাতেই রয়েছে। টিকিট ছাড়ার পুর্বেই সেই সংস্থার কর্মচারিরা দোকানিদের জানিয়ে দেয়। দোকানিরা সে টিকিটগুলো এক সাথে সরিয়ে ফেলে। ফলে সাধারণ যাত্রী সেতো দুরের কথা সচেতন কোন যাত্রী অনলাইন খুলেলই দেখতে পায় টিকিট সংখ্যা-০। অবশেষে ছুটে আসেন দোকানে দোকানে। কিন্তু সেখানে এসেও টিকিট নাই জবাব পেয়ে হতাশ হয়ে যায়। এসময় আশপাশে থাকা দালালরা ছুটে আসে “সহযোগীতা” করতে। তারা নির্ধারিত দামের দ্বিগুন এবং ৩/৪ গুন বেশী দাম আদায় করছেন।

[৪] এভাবে তারা রাতারাতি আঙ্ল ফুলে কলা গাছ বনে যাচ্ছেন। করোনা ভাইরাসের সংক্রামন রোধে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ একটি ট্রেনের জন্য বরাদ্দকৃত টিকিটের ৫০ ভাগ টিকিট বিক্রি করছেন। বর্তমানে সান্তাহার জংশন হয়ে ঢাকাগামী ৫ আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করছে। এছাড়া খুলনাগামীও রয়েছে একটি ট্রেন। ঢাকাগামী ৫ ট্রেনের জন্য সব শ্রেনির বরাদ্দকৃত টিকিটের সংখ্যা ৯৯০ টি। বর্তমানে অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে অর্ধেক তথা ৪৯৫ টি টিকিট।

[৫] এই বিপুল সংখ্যক টিকিট ভাগা বাটোয়ারা করে নিচ্ছেন বিক্রেতারা এবং মুল্য আদায় করছেন তাঁদের ইচ্ছামত। সান্তাহার স্টেশনের খুলনাগামী যাত্রী জি,আর,এম শাজাহান সাড়ে ৬ শত টাকা দামের দুই টিকিট কিনতে বাধ্য হয়েছেন ১ হাজার ৭ শত টকায়। একই ভাবে ঢাকাগামী ট্রেন যাত্রী রোকোনুজ্জামান জানান,তিনি তাঁর আত্মীয়ের জন্য বার্থ শ্রেনির এক হাজার ৭০২ টাকার টিকিট কিনতে বাধ্য হয়েছেন সাড়ে ৩ হাজার টাকায়।

[৬] এভাবে প্রতিদিন শত শত যাত্রী দ্বিগুন থেকে তিন/চারগুন বেশী দাম দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন। আবার একই আসনের টিকিট ৪/৫ দোকান থেকে বিক্রি করা এবং সেই টিকিট নিয়ে ট্রেনে উঠে যাত্রীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটছে। সম্পাদনা: আরাফাত

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়