মহসীন কবির : [২] রোববার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে ১৫ আগস্টে হত্যাকাণ্ডের স্মরণে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়াল আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন । ডিবিসি, ৭১ টিভি ও জাগোনিউজ
[৪] তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মানুষকে অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে চেয়েছিলেন, মানুষকে উন্নত জীবন দিতে চেয়েছিলেন-এটাই কি তার অপরাধ ছিল?’ ‘পাকিস্তান নামের যে রাষ্ট্র সৃষ্টি হয়েছিল, সে রাষ্ট্রটি নির্মাণের প্রতিও তার অবদান ছিল। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করেছিলেন। সে সময় তাদের একজন কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন বঙ্গবন্ধু।
[৫] তিনি বলেন, এই হত্যার মধ্যদিয়ে কী পেয়েছে? আজকে যদি আমরা ১৫ আগস্টের দিকে তাকাই…আজকে আপনারা জানেন, আজ আশুরার দিন। সেদিন হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর নাতি ইমাম হোসেনকে কারবালার ময়দানে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। কারণ তারা ন্যায়ের পথে ছিল। কিন্তু কারবালায় নারী-শিশুদের হত্যা করা হয় নাই। কিন্তু ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি বা মিন্টু রোডের বাড়িতে নারী-শিশুরা রক্ষা পায়নি। ১৫ আগস্টের ঘটনার সঙ্গে যেন এই হত্যাকাণ্ডের এক অদ্ভূত মিল রয়ে গেছে।’
[৬] তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মানুষকে অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে চেয়েছিলেন, মানুষকে উন্নত জীবন দিতে চেয়েছিলেন-এটাই কি তার অপরাধ ছিল?’ ‘পাকিস্তান নামের যে রাষ্ট্র সৃষ্টি হয়েছিল, সে রাষ্ট্রটি নির্মাণের প্রতিও তার অবদান ছিল। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করেছিলেন। সে সময় তাদের একজন কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন বঙ্গবন্ধু।
[৭] প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ যখন অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে যাচ্ছিন তখনই বঙ্গবন্ধকে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধু কখনো নীতির সঙ্গে আপোষ করেন নি। জিয়াউর রহমান ১৫ আগস্টের খুনিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতো। ঘাতকেরা এতো সাহস পেয়েছিলেন জিয়াউর রহমানের প্রশ্রয়ে।