রাজু চৌধুরী: [২] দেশে করোনা সংক্রমণের পর থেকে বিভিন্ন মানবিক এবং ব্যতিক্রমী সব উদ্যোগ নিয়ে সারাদেশে প্রশংসিত হয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।
[৩] নিশ্চিত ঝুঁকি জেনেও নাগরিক সেবায় করোনা মহামারীতে জীবন উৎসর্গ করেছেন অনেক পুলিশ সদস্য। বর্তমানেও সারাক্ষণ আছেন সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে। সব ভয়কে অতিক্রম করে সার্বক্ষণিক সেবা দিয়ে যাচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। প্রয়োজনে ঝুঁকিও নিতে হচ্ছে।
[৫] করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী লোকজনের দাফনের দায়িত্বও নিয়েছে পুলিশ। শুধু তা-ই নয়, বিদেশফেরত লোকজনের হাতে কোয়ারেন্টিনের তারিখসমৃদ্ধ সিল বসানোর ঝুঁকি নিয়েছিল পুলিশ। দেশে সৃষ্ট এ অচলাবস্থায় মানুষের কাছে সেবা পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি মানবিক কাজেও এগিয়ে এসেছেন এ বাহিনীর সদস্যরা।
[৬] এরই ধারাবাহিকতায় সিএমপির করোনাজয়ী পুলিশ সদস্যরা প্লাজমা দিতে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে যান।
[৭] সিএমপি সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (২৬ আগস্ট) দামপাড়া পুলিশ লাইন থেকে ৩০ জন পুলিশ সদস্য নিজেদের বাসে করে ঢাকাস্থ রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।
[৮] এছাড়া চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহাবুবর রহমানের নির্দেশে নগরবাসীর সেবায় মানবিক উদ্যোগ গুলো হচ্ছে, হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা মানুষের বাসায় বাজার পৌঁছে দিতে ‘ডোর টু ডোর শপ’ চালু করেছে। অসহায় মানুষের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া, কোয়ারেন্টিন মানা প্রবাসীদের বাসায় উপহারস্বরূপ ফলমূল পৌঁছে দেওয়া বা স্বীকৃতি সনদ প্রদান, চিকিৎসক-নার্সদের কর্মস্থলে পৌঁছে দেওয়াসহ বেশ কিছু উদ্যোগে নিয়েছে।
[৯] নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ও জনসংযোগ কমকর্তা মির্জা সায়েম মাহমুদ বলেন, ৩০ জন সদস্য স্বেচ্ছায় প্লাজমা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :