শাহানুজ্জামান টিটু: [২] প্রার্থিতা বাতিল সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনকে তৃতীয় লিঙ্গ হিজরার সাথে তুলনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)’৭২ এর সংশোধন করে প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিলের সরাসরি ক্ষমতা বিলুপ্ত করার প্রস্তাবের সমালোচনা করেন তিনি।
[৩] রিজভী বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন সার্বভৌম সত্ত্বা। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের ৯১ (ই) ধারায় আছে, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কোনো প্রার্থীর প্রার্থিতা প্রত্যাহার বা বাতিলের ব্যাপারটা নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারে। সংবিধান তাদেরকে (ইসি) দায়িত্ব দিয়েছে এই স্বাধীনতার, তাদের এটা নিজস্ব স্বাধীনতা।
[৪] তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন স্বেচ্ছায় সমর্পন করেছেন নিজেদের স্বাধীনতা সরকারের কাছে। তার ক্ষমতাটাকে কেটে নিয়ে অর্থাৎ কার প্রার্থিতা বাতিল করতে হবে, না রাখতে হবে। এটা এখন আলাদা পূর্ণাঙ্গ আইন করার জন্য তারা (ইসি) একটি রেজুলেশন নিয়েছে এবং সেটা এখন যাবে সংসদে। সেখানে আইন হবে।
[৫] রিজভী বলেন, ইসির ক্ষমতা এটাকে আইন করে সরকার নিজের হাতে রাখবে। প্রয়োজন হলে যদি তার কথা কেউ না শুনে তাহলে তুমি বাদ। ওই আইন এমন হবে শেখ হাসিনা হবেন অখন্ড ক্ষমতার অধিকারী। বিএনপি কথা শুনছে না, ওর রেজিস্ট্রেশন বাদ, ওমুক দল কথা শুনবে না, ওর রেজিস্ট্রেশন বাদ।
[৬] শুক্রবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ন্যাশনালিস্ট এক্স স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (রুনেসা) এর উদ্যোগে রাবির মুন্নুজান হলের ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি দিলরুবা শওকতের মৃত্যুতে এই দোয়া মাহফিল হয়।
আপনার মতামত লিখুন :