অনির্বাণ আরিফ : নারী ধর্ষিত হয়েছে সেখানে ধর্ষকের দোষ দেখার আগে দেখতে হবে নারী কী পরে বের হয়েছিলো, কেন বের হয়েছিলো, কোথায়, কখন, কীভাবে বের হয়েছিলো। নারী ধর্ষণের প্রতিবাদ করতে বের হয়েছে এই নারী বেশ্যা, এই নারী মাগী, এই নারীর জন্য অভিশাপের আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে। যে নারী ঘরে থেকে স্বামীর নির্যাতন মুখ বুঝে মানবে, রাস্তায় বের হলে ‘মাল’ কথাটা শুনে এড়িয়ে যাবে, কর্মস্থলে হ্যারেজমেন্ট হলে মনে কিছু করবে না, কোনো কারণ ছাড়া ডিভোর্স পেলে নিয়তির লিখন বলে ধরে নেবে সে নারী ভালো নারী।
মেয়েরা ভালো নারী হোক এটা কেবল পুরুষের নয় পুরুষতন্ত্রের এজেন্সি নেওয়া স্বেচ্ছাদাসীদেরও কথা। সবচেয়ে বিস্ময়কর কথা হলো নারীর পক্ষে যতো পুরুষ কথা বলে তার চাইতে বেশি সংখ্যক নারী (যারা মূলত স্বেচ্ছাদাসী) নারীর বিরোধিতা করে, নারীকে বেশ্যা বলে। একবিংশ শতাব্দীতে নারীই নারীর প্রধান শত্রু। আমরা নুসরাত হত্যায় এবং এ জাতীয় আরো একাধিক ইনসিডেন্ট কেইসে সে রকমটাই দেখেছি। সুতরাং নারীদের এবারের লড়াই হোক নারী নামক পুরুষতন্ত্র রক্ষাকারী পুরুষের লোলুপ সার্ভিসে চব্বিশ ঘণ্টা নিয়োজিত স্বেচ্ছাদাসীদের বিরুদ্ধে। ফেসবুক থেকে