এএইচ রাফি : [২] ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের সাহেবনগরে কামরুল ইসলাম (১০) ও শিফা আক্তার ভাই-বোনকে জবাইকে করে হত্যার ঘটনায় ঘাতক মামা বাদল মিয়া ফাঁসি দাবি করেছে নিহতদের মা হাসিনা আক্তার। গত ২৪ আগস্ট রাতে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় ঘাতক নিহতদের আপন মামা বাদল মিয়াকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
[৩] এই ঘটনার পর নিহতদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। কিছুক্ষণ পর পর সন্তানদের শোকে বিলাপ করছে মা হাসিনা আক্তার। ফাঁসি দাবি করেছে সন্তানদের হত্যাকারী নিজের আপন ভাই বাদল মিয়া।
[৪] নিহতদের মা হাসিনা আক্তার বলেন, আমার দুই ভাইয়ের মধ্যে একজন প্রতিবন্ধী ও বাদল মিয়া ছিল সুস্থ। আমি তাকে (ঘাতক বাদল মিয়া) কোন দিন ভাই হিসেবে দেখিনি। বাবা মারা যাওয়ার আগে বাদলকে আমার হাতে তুলে দিয়ে গিয়েছিলেন। আমি আমার সন্তানের মতো তাকে আদর করেছি। আমি চেয়েছিলাম তাকে প্রতিষ্ঠিত করতে।
[৫] তিনি বলেন, আমি আমার ভাই বাদল মিয়াকে বাহরাইন থাকতে গাড়ি কিনে চালাতে ১৩ লাখ টাকা দিয়েছি। এরমধ্যে ৩লাখ টাকা সে ফেরয় দিয়েছে। সম্প্রতি সে একটি মামলায় আমার বাড়িতে আত্মগোপনে ছিল। হত্যাকাণ্ডের ঘটনার কিছুদিন আগে বলেছিল ১৮আগস্ট সে ২লাখ টাকা ফেরত দিবে। কিন্তু না দিয়ে এরপর বলল ২০আগস্ট দিবে, সেই তারিখেও না দিয়ে আবার বলল ২৩ আগস্ট টাকা দিবে। বাদল নিজ থেকেই টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলেছে, আমি কোন দিন তার কাছে পাওনা টাকা চাইনি। হত্যাকাণ্ডের দিন ২৩ আগস্ট দুপুরের সে বলল বিকেলে টাকা দিবে। কিন্তু সেই দিন সে কি করলো!
[৬] তিনি আরও বলেন, আমার বুক খালি করে দিয়েছে। আমি তার ফাঁসি চাই। আর যেন কেউ এমন ভাইকে বিশ্বাস না করে। সে আমার তিনসন্তানের মধ্যে দুইটি সন্তানকে শেষ করে ফেলেছে। তাকে বলুন আমার সন্তানদের ফেরত দিতে, যত টাকা লাগে আমি দিব। আমি টাকা পয়সা দিয়ে কি করব, যদি সন্তানই না থাকে। তাকে যেন তিল তিল করে ফাঁসি দেওয়া হয়। মানুষ জানুক কোন বোন যেন তার ভাইকে বিশ্বাস না করে।
[৭] এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে বাদল মিয়া।