নূর মোহাম্মদ: [২] সুপ্রিম কোর্টের পাঁচজন আইনজীবীর পক্ষে মোহাম্মদ শিশির মনির রিভিশন মামলাটি দায়ের করেন। পাঁচজন আইনজীবী হলেন- আসাদ উদ্দিন, জোবায়েদুর রহমান, আশরাফুল ইসলাম, আল রেজা আমির এবং মিসবাহ উদ্দিন। রিভিশনে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় দায়েরকৃত মামলা এবং মামলা পরবর্তী প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এছাড়া ওই মামলার নথি তলব করে পরীক্ষাপূর্বক উপযুক্ত আদেশ চাওয়া হয়েছে আবেদনে।
[৩] গত ২৪ আগস্ট ‘ধর্ষণের পর নদীতে লাশ ফেলে দেওয়া স্কুল ছাত্রী ৪৯ দিন পর জীবিত প্রত্যাবর্তন’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত ওই সংবাদ বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। এসময় আদালত তাকে লিখিত আবেদন করতে বলেন। নির্দেশ অনুযায়ী মঙ্গলবার রিভিশন মামলা করা হয়।
[৪] এর আগে গত ৪ জুলাই পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী দিসা নিখোঁজ হয়। এরপর ৬ আগস্ট দিসার বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ আব্দুল্লাহ, রকিব এবং খলিল নামে ৩ জনকে গ্রেফতার করে। ওই তিন আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও প্রদান করে।
[৫] আসামিরা স্বীকারোক্তিতে বলে যে, তারা দিসাকে গণধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে। কিন্তু ২৩ আগস্ট দিসাকে খুঁজে পাওয়া গেছে। এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে আসামিরা কীভাবে ধর্ষণ ও হত্যা সম্পর্কিত স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
[৬] নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, বাদী এবং আসামিগণকে বিবাদী করা হয়েছে বলে জানান শিশির মনির।
আপনার মতামত লিখুন :