সালেহ্ বিপ্লব: [২] কদিন আগে স্ত্রী ইরিনের মৃত্যুর পর ফ্লোরিডার ট্যাক্সিচালক ব্রায়ান নিজের ভুল বুঝতে পারলেন। ভাইরাস বিষয়টাই পুরো একটা ধাপ্পাবাজি, শুরু থেকেই স্বামী-স্ত্রী দুজনের বিশ্বাস ছিলো অভিন্ন। তাই কোন নিয়মকানুন মানার ধার ধারেননি। আর সেটা না করলে স্ত্রীকে হারাতে হতো না, এখন সেটাই বিশ্বাস করছেন ব্রায়ান। বিবিসি
[৩] মে মাসের শুরুতে দুজনেই আক্রান্ত হন। ব্রায়ান সেরে উঠলেও সুস্থ হননি ৪৬ বছরের ধর্মযাজক ইরিন। তার আগে থেকেই অ্যাজমা ও অনিদ্রার সমস্যা ছিলো। অসুস্থ হওয়ার পরও বিধিনিষেধ মানেননি ব্রায়ান। ট্যাক্সি নিয়ে বাইরে গেছেন, স্ত্রীকে ওষুধ দিয়েছেন। শারীরিক দূরত্ব মানেননি, মাস্ক পরেননি। এমনকি প্রথম কিছুদিন কারো সাহায্যও চাননি তারা।
[৪] মহামারীর শুরু থেকে ব্রায়ান ও এরিন বলে আসছেন, নভেল করোনা ভাইরাস ফাইভ জি’র মতো প্রযুক্তির কারসাজি কিংবা সত্যিও হতে পারে। এতে আক্রান্ত হলে সামান্য কষ্ট হবে। আর কিছু না। তারা এসব লিখছিলেন ফেসবুকেও।
[৫] ব্রায়ান বলেন, আমরা ভেবেছিলাম, সরকার আমাদের বিভ্রান্ত করতে চাইছে। কিংবা এটা করা হচ্ছে ফাইভ জি ব্যবহার করে।
[৬] ইরিন মারা গেছেন হার্টের সমস্যায়, যেটি ভাইরাসের কারণে ঘটেছে। শেষ দিনগুলো ভেন্টিলেটরে ছিলেন, সে কথা জানিয়ে নিজের অনুতাপ প্রকাশ করেছেন স্বামী ব্রায়ান। স্ত্রীর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে ক্ষমা চেয়েছেন তার কাছে। এখন থেকে নিয়ম মেনে চলবেন, সেকথাও বলেছেন।