সোহেল রহমান: [২] বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি বলেছেন, দেশে চায়ের চাহিদা বাড়ছে, বিদেশেও বাংলাদেশে উৎপাদিত চায়ের চাহিদা রয়েছে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে চা রপ্তানি বাড়াতে হবে। একসময় চা বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানি পণ্য ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশসহ পৃথিবীর অনেক দেশে বাংলাদেশে উৎপাদিত চায়ের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
[৩] রোববার সরকারি বাসভবনের অফিস কক্ষে ‘বাংলাদেশের চা শিল্পের উন্নয়ন’ সংক্রান্ত এক সভায় তিনি এ সব কথা বলেন। বৈঠকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ, ‘বাংলাদেশ টি বোর্ড’-এর চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. জহিরুল ইসলাম, বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. ওবায়দুল আজম, ‘বাংলাদেশ টি এসোসিয়েশন’-এর প্রেসিডেন্ট এম শাহ আলম প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
[৪] বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দিন দিন চায়ের অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়ছে। সে কারণে প্রত্যাশিত রপ্তানি বাড়ছে না। চায়ের উৎপাদন বাড়াতে চা বাগানের সংখ্যা ও নতুন জাত উদ্ভাবনে গবেষণা বাড়াতে হবে। এ জন্য চা বাগানের মালিকদের এগিয়ে আসতে হবে। দেশে চা বাগানের সংখ্যা বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে, এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। চায়ের উৎপাদন বাড়িয়ে রপ্তানি বাড়াতে হবে। চায়ের ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ, রপ্তানি বাড়ানোর বিষয়টি সামনে রেখে আগামী ২০২৫ সালে দেশে ১৪০ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
[৫] ‘চা শিল্পের উন্নয়নে সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত রাখা’র কথা জানিয়ে তিনি বলেন, চা শিল্পের উন্নয়নে সরকার ‘উন্নয়নের পথনকশা’ গ্রহণ করেছে এবং তা বাস্তবায়ন করে চলেছে। চা শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশ চা বোর্ড এবং চা বাগানের মালিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে ।
[৬] টি বোর্ড-এর ‘উন্নয়নের পথনকশা’ বাস্তবায়নে চা বাগান মালিকদের সহযোগিতা কামনা করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের ৪ জুন থেকে ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত প্রথম বাঙালি চা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। দেশের চা শিল্পের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছিলেন।
[৭] বৈঠকে ‘বাংলাদেশ টি এ্যাসোসিয়েশন’-এর প্রেসিডেন্ট এম শাহ আলম চা শিল্পের উন্নয়নের বিষয়ে বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং সরকারের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।
[৮] সভায় উপস্থাপিত তথ্যমতে, ২০১৯ সালে দেশে ২ লাখ ৭৮ হাজার ১৪১ একর জমিতে ১৬৭টি চা বাগানে ৯৬ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। এ সময় অভ্যন্তরীণ চায়ের চাহিদা ছিল ৯৫.২০ মিলিয়ন কেজি।