এসএম শামীম: [২] জেলার আগৈলঝাড়ায় উপজেলা সদর বাজারের গোডাউন রোডের গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বেহাল দশায় ভুগছে হাজার হাজার শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ি ও সাধারণ জনগন। আগৈলঝাড়ার সর্বত্রই সড়ক উন্নয়ন কাজ হলেও অবহেলিত রয়েছে একমাত্র এই সড়কটি। এ যেন ‘বাতির নীচে অন্ধকার’ প্রবাদেরই চিত্র। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা ও বাজার ব্যবসায়িরা জানান, একটু বৃষ্টি হলেই ভাঙ্গাচোরা আর কাঁদা পানিতে ডুবে থাকার কারণে উপজেলা সদর বাজারের মধ্য দিয়ে সরকারী গোডাউন পর্যন্ত সড়ক দিয়ে কোন মানুষ পায়ে হেঁটেও চলাচল করতে পারছে না।
[৩] যানবাহন চলাচলের তো প্রশ্নই ওঠে না। অথচ এই সড়ক দিয়ে উপজেলা সদরের দক্ষিন এলাকার সাধারণ লোকজন, ভেগাই হালদার পাবলিক একাডেমী ও শ্রীমতি মাতৃ মঙ্গল বালিকা বিদ্যালয়, সরকারী শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রী কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন যাতায়াত করতে। পায়ে হাঁটার অনুপযোগী ওই সড়ক দিয়ে ব্যবসায়িদের মালামাল আনা নেয়ায় চরম দুর্ভোগে পরতে হচ্ছে।
[৪] এই সড়কের পাশে নেই কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা, ফলে পানি নিস্কাশন না হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কে জমে পানি। কাঁদা পানি আর ভাঙ্গাচোরার কারণে ওই সড়কের ব্যবসায়িদের বেচা কেনায় এখন চরম দুর্দিন। ব্যবসায়িরা অভিযোগে বলেন, সড়কটি দিয়ে অতিরিক্ত পণ্যবাহী ট্রাকে গোডাউনের মালামাল আনা-নেওয়ার কারণেই সড়কটি বিধ্বস্ত হচ্ছে। উপজেলা সদর বাজারের সড়কটি সংস্কার বা উন্নয়ন কাজ করছে না এলজিইডি বিভাগ।
[৫] এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী রাজ কুমার গাইন সাংবাদিকদের বলেন, এই বাজারের ওই সড়কটি নির্মাণের জন্য ৫০লাখ টাকার ইস্টিমিটসহ ‘বাজার উন্নয়ন প্রকল্পে’ দেয়া হয়েছে। ওই প্রকল্প মন্ত্রনালয় অনুমোদন করেছেন। করোনা ভাইরাসের কারনে সারা দেশে মত আগৈলঝাড়ায়ও কোন নতুন কাজ হচ্ছে না। সম্পাদনা: সাদেক আলী