রাশিদ রিয়াজ : [১] গত বছর তিন তালাক প্রথাকে নিষিদ্ধ করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। তারপরও তালাক দেওয়ার একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছিল। কোভিড পর্বে ফের হোয়াটসঅ্যাপে তিন তালাকের ঘটনার পর মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান জানালেন, অভিযোগকারী নারী বিচার পাবেনই। টাইমস অব ইন্ডিয়া
[৩] শুক্রবার ভোপালের কোহেফিজা থানায় সিঙ্গাপুরনিবাসী স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ওই নারী। তার বাপের বাড়ি ভোপালে হলেও তিনি আপাতত বেঙ্গালুরুর একটি হোটেলের কর্মী। সম্প্রতি তিনি বাবা-মায়ের কাছে ভোপালে এসেছেন। থানায় অভিযোগ জানিয়ে ওই নারী বলেন, বৃহস্পতিবার হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে তাকে তার স্বামী তিন তালাক দিয়েছেন।
[৪] এই অভিযোগ কানে যাওয়ার পরই একের পর এক টুইট করেন শিবরাজ সিং চৌহান। তিনি বলেন, বর্বোরচিত এই বন্দোবস্ত বিলোপের জন্য অনেক লড়াই করতে হয়েছে। নারীদের উপর আর অবিচার হতে দেওয়া যাবে না। এর বিচার হবেই হবে।
[৫] ওই নারী পুলিশকে জানিয়েছেন, ২০০১ সালের অক্টোবর মাসে তার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল কোহেফিজা থানা এলাকার বাসিন্দা ফৈয়জ আলম আনসারির। এরপর ২০১৪ নাগাদ বাবা-মাকে নিয়ে সিঙ্গাপুর চলে যান ফৈয়জ। দুই সন্তানও রয়েছে এই দম্পতির। ফৈয়জ এখন সিঙ্গাপুর ও ভারত দুই দেশেরই নাগরিক। কোহেফিজা থানা এলাকায় তাদের বাড়িও রয়েছে।
[৬] কোহেফিজা থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক অনিল বাজপেয়ী সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, পণের ২৫ লাখ টাকার জন্য এই নারীর উপর তার স্বামী বিয়ের পর থেকেই অকথ্য অত্যাচার চালাতেন বলে তিনি অভিযোগপত্রে লিখেছেন। অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অভিযোগকারিণী লিখেছেন, অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই ছেলে-মেয়ে নিয়ে ২০১৩ সালে বেঙ্গালুরু চলে গিয়েছিলেন তিনি। তারপরই সিঙ্গাপুরে চলে যান স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির পরিবার।