মাসুদ রানা: বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীরা প্রধানতঃ দুই প্রকারের - (১) হিন্দু সাম্প্রদায়িক ও (২) মুসলিম সাম্প্রাদায়িক। এই বিভক্তির আবার ক্রস-ক্যাটেগোরাইজেশন আছে - অর্থাৎ উপরের দু'টি ভাগ আবার দু'ভাগে বিভক্ত - (১) ডানপন্থী ও (২) বামপন্থী।
তো, আমরা পাচ্ছি চার প্রকারের বুদ্ধিজীবী - (১) হিন্দু সাম্প্রদায়িক ডানপন্থী বুদ্ধিজীবী, (২) হিন্দু সাম্প্রদায়িক বামপন্থী বুদ্ধিজীবী, (২) মুসলিম সাম্প্রদায়িক ডানপন্থী বুদ্ধিজীবী ও (৪) মুসলিম সাম্প্রদায়িক বামপন্থী বুদ্ধিজীবী।
উপরের বিভক্তি অনুসারে বাংলাদেশের বাঙালীর মননও এই চার লাইনে বিভক্ত। একটু ক্রিটিক্যাল চোখ দিয়ে দেখলেই আপনি দেখতে পাবেন এ-বিভক্তি।
অথচ জাতি টিকে থাকার জন্যে হিসেবে বাঙালীর প্রয়োজন একদল শক্তিশালী ধর্মনিরপেক্ষ বাঙালী বুদ্ধিজীবীর, যাঁরা এ-জাতিকে (১) একটি অভিন্ন ঐতিহাসিক শেকড়-বোধের ভিত্তিতে, (২) অবিভাজ্য বাঙালী আত্মপরিচয়ের উত্থিত হয়ে, (৩) সুসভ্য জীবনবিধান দ্বারা পরিচালিত হয়ে ও (৪) বিশ্ব-পরিসরে নেতৃত্বের ভূমিকা পালনের অভিষ্ট-নিয়তি মেনে গড়ে ওঠার প্রেরণা দান করবেন।
১৯/০৮/২০২০
লণ্ডন, ইংল্যাণ্ড
ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :