সুজন কৈরী : [২] প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষতি ঠেকাতে নিয়মিত অগ্নিনির্বাপণ মহড়া আয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ। তিনি বলেছেন, সচেতন থাকলে অগ্নিকাণ্ড থেকে প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষতি কমানো যায়।
[৩] বুধবার দুপুরে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে এক অগ্নিনির্বাপণ, উদ্ধার ও বহির্গমন মহড়া অনুষ্ঠান শেষে এসব কথা বলেন আইজিপি। মহড়া আয়োজনে সহযোগিতা করেছে ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স।
[৪] মহড়া শেষে পুলিশ প্রধান ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষার নার্ভ সেন্টার। এখানে পুলিশ, সিভিল কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে প্রায় ২২শ’ সদস্য দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এছাড়া রয়েছে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দলিল। অগ্নিকাণ্ডসহ অন্যান্য দুর্ঘটনা থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও রাষ্ট্রীয় ডকুমেন্ট রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। অগ্নিকাণ্ড সম্পর্কে সকলকে সচেতন করতে এ অগ্নিনির্বাপন মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে।
[৫] তিনি বলেন, আমরা ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের পরামর্শ অনুযায়ী পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে অগ্নিনির্বাপন সামগ্রী স্থাপন করেছি।
[৬] এ সময় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে প্রতি তিন মাস পর পর এবং বছরে অন্তত একবার পূর্ণাঙ্গ অগ্নিনির্বাপন মহড়া আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দিয়ে আইজিপি বলেন, প্রতিবছর আমাদের দেশে অগ্নিকাণ্ডে অনেক মানুষের জীবন হানি ঘটে এবং সম্পদ ধ্বংস হয়। অথচ সচেতন থাকলে অগ্নিকাণ্ড থেকে প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষতি কমানো যায়। এজন্য প্রয়োজন অগ্নিনির্বাপন মহড়া। তিনি অগ্নিকাণ্ড সম্পর্কে সচেতন হতে, বিশেষ করে বহুতল ভবনে নিয়মিত অগ্নিনির্বাপন মহড়া আয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
[৭] ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, অগ্নিকাণ্ডসহ যে কোনো দুর্ঘটনা ও উদ্ধার অভিযানে পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিস যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করে। পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ পারস্পরিক পেশাগত সম্পর্ক রয়েছে।
[৮] তিনি একটি সফল মহড়া আয়োজনের জন্য ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।